চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শিক্ষিকার বেতের আঘাতে চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে এক মাদ্রাসাছাত্র। পেটানোর পর বিষয়টি গোপন রাখায় ওই ছাত্রকে চিকিৎসা দিতে দেরি হয়। আর এতেই চোখের দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারায় সে।
দৃষ্টিশক্তি হারানো ছাত্রের নাম মো. আয়াতুল ইসলাম (৭)। সে উপজেলার জোটপুকুর পাড় এলাকায় বাগে সিরিকোট তাহফিজুল কুরআন আইডিয়াল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
আয়াতুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত ২৪ জুন ভুক্তভোগীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শাহীন আখতার।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গত ২৬ মে মাদ্রাসায় ছাত্রের ওপর বেত্রাঘাতের ঘটনা ঘটলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখে।
শিশুর মা স্বপ্না আখতার বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনা গোপন রাখায় ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরী হয়েছে। এতে সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পড়া না পারায় মাদ্রাসা শিক্ষিকা শাহীন আখতার আমার ছেলেকে বেত্রাঘাত করেন। বেত্রাঘাতের সময় তার বাম চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। ঘটনার পর ২৯ মে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শেষে ডাক্তাররা জানান, তার কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং অন্যান্যদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ডাক্তাররা বলেছেন, আমার ছেলেকে ভারতে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে, কিন্তু তা আমাদের পক্ষে খুব ব্যয়বহুল।’
যোগাযোগ করা হলে বোয়ালখালীর ইউএনও ইমরান হোসেন সজিব বলেন, ‘ঘটনা তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান স্যার নিদর্শনায় বোয়ালখালী উপজেলা প্রশাসন আয়াতুল ইসলামের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।’
ডিজে