চট্টগ্রামে শনাক্ত কমে দুইশর নিচে, উপজেলায় ২ মৃত্যু

0

চট্টগ্রামে আরও কমে গেল করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু। আগের দিনের তুলনায় অনেক কমে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা নেমে এসেছে দুইশর নিচে। নতুন করে শনাক্ত ১৮৭ জনের মধ্যে নগরের ১১৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৭৩ জন রয়েছেন। একই সময়ে নগরে করোনায় কোন প্রাণহানি না হলেও উপজেলা পর্যায়ে নতুন করে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৭২৪ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে নগরীর ৭১ হাজার ৮৬৯ জন। আর বিভিন্ন উপজেলার ২৬ হাজার ৮৫৫ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮২ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ৫২৯ জন।

শনিবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিকলে কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে মোট ১ হাজার ৭০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৬৭৩ জন।

s alam president – mobile

গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্তদের মধ্যে লোহাগাড়ায় সবচেয়ে বেশি ১৯ জন শনাক্ত হন। এছাড়া, রাউজান ও হাটহাজারীতে ১৩ জন করে, সাতকানিয়ায় ৮ জন, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ে ৫ জন করে, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ ও আনোয়ারায় ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়। এদিন পটিয়ায় কোন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৮১ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত হয়। একই সময়ে চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩১ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে নতুন করে ২৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে। অন্যদিকে, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ জনের পজিটিভ আসে।

এদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এন্টিজেন টেস্টেও এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

Yakub Group

নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৬ জনের পজিটিভ আসে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এছাড়া, শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৩ জনের পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬ জনের এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!