নগরের শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন একটি ঝুপড়ি ঘরে পুলিশের নাকের ডগায় অবাধে চলছে ‘মিনি বেবী লটারি’ নামে জমজমাট জুয়ার আসর। জুয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় বসছে মাদকের হাটও।
সড়কের পাশে পাহারা বসিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল এ অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এবার সেখানে অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সামগ্রীসহ হাতেনাতে ৫ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশের অভিযান টের পেয়ে পালিয়েছে অনেকে।
অভিযোগ রয়েছে, শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন পুলিশ বক্সের পাশে প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মাদক ও জুয়ার এই রমরমা আসর চলছে জসিম, শাহ আলম ও বেলাল নামে তিনজনের নেতৃত্বে।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবৈধ ওই জুয়া খেলায় লাখ টাকার লেনদেন চলছে ওই এলাকায়। আর এসবই হচ্ছে পুলিশের চোখের সামনে। আসরে প্রতিদিন গাড়ির ড্রাইভার থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের আসা-যাওয়া চলে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশ জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করে। আটকরা হলেন- নওগাঁ জেলার মান্দা থানার সীতরহাটের আহম্মদ আলীর ছেলে মো. আফজাল হোসেন (৩৬), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ছদুরা শরীফ এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. বশির মিয়া (৩৫), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদি খান থানার বড় পাউলদিয়ার মো. আরিফ শেখের ছেলে সুজন শেখ (৩৫), নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তাগাড়পাড়ের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শিহাব উদ্দিন (২৭) ও লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার মৃত আব্দুল মোনাফের ছেলে মো. বাচ্চু আলম (৪০)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, এখানে প্রতিদিন ইয়াবা, মদ ও জুয়ার আসর বসার কারণে যুবকরা দিন দিন মাদকের দিকে ঝুঁকছে। যারা এসব করে আসছে তাদের প্রভাব বিস্তারে কেউ প্রতিবাদ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন অতি দ্রুত এদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শাহ আমানত ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রকাশ্যে মিনি বেবী লটারি নামে জুয়ার আসর চলে আসছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে হাতেনাতে জুয়ার বোর্ড থেকে ৫ জুয়াড়িকে আটক করি। এ সময় সেখান থেকে নগদ ১ হাজার ৯২০ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের জুয়া পরিচালনার সরঞ্জাম উদ্ধার করি।
আটককৃতদের আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএস/কেএস