চট্টগ্রামে রেলের পোর্ট ইয়ার্ডে তেল চুরি, খালাসি বরখাস্ত, দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চিঠি
দিনভর চললো দুদকের ঝটিকা অভিযান
চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার রেলওয়ের চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) লোকোশেড থেকে দীর্ঘদিন ধরে চুরি ও পাচার হয়ে যাচ্ছিল তেলসহ মূল্যবান যন্ত্রাংশ। ওই লোকোশেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাই নিজেরা যোগসাজস করে তেল চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। জ্বালানি তেলের স্টক থাকলেও অনেক সময় কম দেখিয়ে, কখনও আবার স্টক পুরোপুরি খালি দেখিয়ে অতিরিক্ত তেল নেওয়া হতো।
এদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) বেশকিছু সদস্যেরও। এদের মধ্যে অনেকে গত পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে একই লোকোশেডের দায়িত্বে থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালিত এক ঝটিকা অভিযানে ওই লোকোশেডে তেল চুরি ও পাচারের সত্যতা মিলল অবশেষে। হাতেনাতে ঘটনা ধরার পর এখন রেলওয়ে নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দিনভর চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ডের (সিজিপিওয়াই) লোকোশেডে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর দুজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল। পরে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযানে তেল চুরি ও পাচারের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এদিকে দুদকের এই অভিযানের পরপরই রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লোকোশেডের একজন খালাসি জিয়াউল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্য দুজন সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এই দুই সিনিয়র উপসহকারী প্রকৌশলী হলেন শফিকুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিজিপিওয়াইয়ের লোকোশেড ও আরএনবি কার্যালয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক মো. এমরান।
সিপি