চট্টগ্রামে রেলকর্মীদের ক্ষোভের মাশুল দিলেন যাত্রীরা, ৩ দিন ঝুঁকিপূর্ণ লুপে চলছিল ট্রেন

চট্টগ্রামে রেলওয়ে যান্ত্রিক বিভাগের কর্মচারীদের ক্ষোভের মাশুল দিলেন আন্তঃনগর সুবর্ণ ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনের যাত্রীরা।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তেলবাহী ট্রেনের একটি ট্যাঙ্কার আটকে মেইল লাইন ব্লক হওয়ায় ৬ এপ্রিল থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ লুপ লাইন দিয়ে চলাচল করেছে সুবর্ণ-সোনার বাংলাসহ আন্তঃনগর ট্রেনগুলো। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। যাত্রাপথে দীর্ঘ সময়ের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করেছে ট্রেন।

সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) কন্ট্রোল অফিসে যোগাযোগ করা হলে মেইল লাইন ব্লকের বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা। তবে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) মেইল লাইন থেকে তেলের ট্যাঙ্কটি অপসারণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

আরও জানা যায়, সিজিপিওয়াই বন্দর থেকে ৬ এপ্রিল দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় তেলবাহী ৬০৯ নম্বর আপ ট্রেন। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তেলবাহী ট্রেনের একটি ট্যাঙ্কার ফাজিলপুর স্টেশনের মেইল লাইনে আটকে যায়। ট্যাঙ্কারটি মেরামতের জন্য পাহাড়তলী সিজিপিওয়াই, সিজিএমওয়াই ও লাকসাম হতে টুল ভ্যান কল দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো টুল ভ্যানই মেইল লাইনে নষ্ট ট্যাঙ্কারটি মেরামত করতে যায়নি। ফলে তিনদিন এভাবে পড়ে থাকে ট্যাঙ্কটি।

জানা গেছে, মেইল লাইনে থাকা গাড়িটি সরিয়ে না নেওয়ায় আন্তনগর ট্রেন সুবর্ণ, সোনার বাংলাসহ বিভিন্ন ট্রেনকে যাত্রা বিলম্ব ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হয়েছে। পরে ৮ এপ্রিল দুপুরে ট্যাঙ্কটি অপসারণ করা হয়।

তবে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকায় তেলের ট্যাঙ্কার অপসারণে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে। যান্ত্রিক বিভাগের কর্মচারীদের ১৫ মাসের টিএ/ডিএ না দেওয়ায় এবং ওভার ডিউটি থেকে কর্মচারীদের বিরত রাখায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার জন্য প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলীকে দুষছেন শ্রমিকরা।

কর্মচারীদের অভিযোগ ও ট্যাঙ্ক অপসারণের বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, তেলবাহী ট্রেনের ট্যাঙ্কারটি শুক্রবার দুপুরে অপসারণ করা হয়েছে। আর কর্মচারীদের টিএ/ডিএ’র বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগির তারা পাওনা বুঝে পাবেন।

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm