চট্টগ্রামে রাতের বেপরোয়া বাস কেড়ে নিল দুটি প্রাণ, একজন লড়ছেন হাসপাতালে
চালক ও সহকারী গাড়ি ফেলে পালিয়েছেন
চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানাধীন পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি বাস সড়ক বিভাজকের সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন একজন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন আরও একজন। গুরুতর আহত আরেক ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে পৌনে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহিম (২৫)। তিনি মিরসরাই জোরারগঞ্জ থানার বড় দারোগাহাট এলাকার উত্তর দূর্গাপূরের জামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম।
হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যাওয়া আরেক ব্যক্তির নাম শান্তু বড়ুয়া (২২)। তার বাড়ি ডবলমুরিং এলাকার মনসুরাবাদে। পেশায় তিনি গার্মেন্টস কর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আকবরশাহ থানার ডিউটি অফিসার হামিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, উত্তরা মিনিবাস চট্টগ্রাম শহর থেকে সীতাকুন্ডে যাচ্ছিল। গাড়িচালকের বেপরোয়া গতির কারণে পাক্কা রাস্তার মাথা এলাকায় জিন্স গার্মেন্টসের সামনে বাসটি সড়ক বিভাজকের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতাল নেওয়ার পথে আরেকজন মারা যায়।
আরেকজন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম মো. রেদোয়ান (৩১)। তার বাড়ি মিরসরাইয়ের তিনঘড়িয়াতোলা গ্রামে।
ওই গাড়ির নম্বর চট্ট-মেট্রো জ ০৪-০১৫৩। ঘটনার পরপরই চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছে। তবে বাসটি আটক করা হয়েছে বলে জানান ডিউটি অফিসার হামিদুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসার আতাউল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গুরুতর আহত যে ব্যক্তিটিকে হাসপাতালে আনা হয় তিনি দুর্ঘটনার পরপরই মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে আনার পথে মারা যান। হাসপাতালে আনার পর আমরা দেখি তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন।’
ডা. আতাউল করিম বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত অপর একজনকে হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।’
আইএমই/সিপি