চট্টগ্রামে মেজবান খেয়ে ভাসানচর গেলেন রোহিঙ্গারা

সামিয়ানা টানানো প্যান্ডেলে সাজানো কয়েকশ চেয়ার টেবিল। সাদা পোশাকের বয়-বেয়ারারা এসে টেবিলে টেবিলে দেয় সাদা ভাত এবং গরুর মেজবানী মাংস। এটি কোনো বিয়ে বাড়ি কিংবা পারিবারিক আয়োজন নয়। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের যাত্রাকে আনন্দময় করে তুলতে আয়োজন করা হয় এই চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের।

তাদের স্থানান্তরের এই যাত্রা উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এ মেজবানের। রোহিঙ্গাদের কয়েকজন জানান, খাবার খেয়ে আমরা সেখানে (ভাসানচরে) চলে যাবো। খাবার ভালো হয়েছে।

এর আগে, বুধবার রাতে ১০টি গরু জবাই করে প্রস্তুত করা হয় সাড়ে তিন হাজার মানুষের খাওয়ার উপযোগী ১৭ মণ মাংস। রাতভর রান্নার পর সকাল থেকে শুরু হয় খাওয়া। গরুর মাংসকে বিশেষভাবে রান্না করা হয় বলে এটি মেজবানী মাংস বলে পরিচিত। শুধুই যে অনুষ্ঠানস্থলে বসে খাওয়ানো হয়েছে তা নয়। যাত্রাপথের জন্য বাক্সে করে রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে খাবার দিয়ে দেয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!