চট্টগ্রামে মহিলা দলের দুই গ্রুপের মারামারিতে আহত ১০

বিএনপির সহযোগী সংগঠন মহিলা দলের দুই গ্রুপের মারামারিতে ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় তাদের মধ্যে চুলাচুলির পাশাপাশি লাটি নিয়ে একে অপরকে হামলাও করেন।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় নগরীর কাজীর দেউড়ির ‘সমাবেশ’ কমিউনিটি সেন্টারের ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় ওই ক্লাবে ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ও ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের জন্য মিটিং চলছিল। ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ মারামারির জন্য দলের নেত্রীরা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনিকে দায়ী করলেও দলের আরেকটা অংশ বলছে মনি দলে ফেরা ও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বাধাগ্রস্ত করতেই এ হামলা সাজানো হয়েছে।

নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী বেগম ফাতেমা বাদশা অভিযোগ করেন, তার অনুসারীদের উপর অতর্কিত হামলা করেছে মনোয়ারা বেগম মনি ও তাসলিমা বেগমের অনুসারীরা।।

আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার বেগম, জামালখান ওয়ার্ডের নতুন সভানেত্রী মর্জিনা বেগম, কোতোয়ালী থানার সহ-সভানেত্রী খালেদা বেগম, আনোয়ারা বেগম, নুরজাহান বেগম। সবাই ফাতেমা বাদশার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী ফাতেমা বাদশা। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‌‘আমরা কেন্দ্রের নির্দেশে কমিটি গঠন করছি। সেখানে এ হামলা দুঃখজনক। তিনি হামলার জন্য দলের বহিষ্কৃত সভানেত্রী ও সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনিকে দায়ী করেছেন।

মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা জেলী চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। নগর বিএনপি নেতা মঞ্জু ভাইয়ের স্ত্রী মারা যাওয়ায় আমি তার বাড়িতে ছিলাম। ওখানে থাকতেই মারামারির ঘটনা শুনি। সবাই বলছে মনোয়ারা বেগম মনি ও তার মেয়েরা হামলা করেছে।’

হামলায় আহত নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার বেগম বলেন, ‘মনোয়ারা বেগম মনি মাস্ক পরে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে। মাস্ক কেড়ে নেওয়ার পর তাকে আর পাওয়া যায় নি।’

অভিযুক্ত মনোয়ারা বেগম মনি বলেন, ‘আমি আজ লালখান বাজারের বাহিরে যাই নি। আমি বাসা আর অফিসে আসা-যাওয়ায় আছি। ওসবে আমি নেই।’

নগর মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদিকা তসলিমা বেগম বলেন, ‘আমি স্কুল থেকে বাচ্চাকে বাসায় নিয়ে এসে দুপুরে খেয়ে ঘুমিয়েছি। একটার পর একটা ফোন আসতেছে। ফোন রিসিভ করে শুনি মারামারির ঘটনা। ফেসবুক খুলে দেখি আমার নামেও তারা অপবাদ দিচ্ছে। দলের সিনিয়র নেতারা আছেন, উনারা দেখবেন কে হামলা করেছে, কেন করেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার জামালখান ওয়ার্ডে মর্জিনা বেগমকে সভানেত্রী ও নুর জাহান বেগমকে সাধারণ সম্পাদিকা এবং বাগমনিরাম ওয়ার্ডে মরিয়ম বিবি বেবি সভানেত্রী ও আনোয়ারা বেগমকে সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করেই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জামালখান-বাগমনিরাম ছাড়াও লালখান বাজার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি। তিনি গত বছরের ৫ অক্টোবর দল থেকে বহিষ্কার হন।

এফএম/এএইচ/এডি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!