চট্টগ্রামে মসজিদ থেকে ভেসে আসছে ‘বাসায় নামাজ পড়ুন’

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের পথে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামও এর বাইরে নয়। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে মিলেছে দুজন করোনা রোগী। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে রোববারও (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগরে মারা যান দুই ব্যক্তি। এর মধ্যেই মসজিদে জনসমাগম নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

করোনার এমন পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মাইকিং করে ঘরে নামাজ আদায়ের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে একই ধরনের নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়। সোমবার (৬ এপ্রিল) আসর নামাজের পর নগরীর মুরাদপুর জামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়, ‘প্রিয় এলাকাবাসী, আগামী কয়েকদিন আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঘরে আদায় করুন। মসজিদে নিয়মিত আজান ও জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা দয়া করে মসজিদে আসবেন না, নামাজ বাসায় আদায় করুন।’

এদিকে মাগরিবের আগে আগে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে জনসমাগম এড়াতে আপনারা সবাই বাসায় নামাজ আদায় করে নেবেন।

এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ‘মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে সম্মানিত খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে এর বাইরে মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’

এছাড়াও শুক্রবার জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আরব দেশগুলোর মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ বন্ধ ঘোষণার পর আজানে ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে ‘আস-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলা হয়েছিল। যার অর্থ ‘আপনারা ঘরেই নামাজ আদায় করে নিন’। তবে বাংলাদেশের কোনও মসজিদে আজানে ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে ‘আস-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলতে শোনা যায়নি।

এইচএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!