চট্টগ্রামে ভয়ঙ্কররূপে করোনা, ৭৪২ শনাক্তের সাথে ৩ মৃত্যু
নগরে ছয়শ ছুঁই ছুঁই শনাক্ত, ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু
ক্রমশ বাড়তে থাকা করোনা শনাক্ত ক্রমশ ভয়ঙ্কররূপ ধারণ করছে চট্টগ্রামে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৪২ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৫৯৭ জন নগরের এবং ১৪৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। শনাক্ত বাড়ার সাথে এবার যুক্ত হয়েছে ৩ মৃত্যুও। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এই নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার ৭১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৭৬ হাজার ৭৯১ জন। বাকি ২৮ হাজার ৯২৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৮ জন নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬১০ জনের।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে দুই হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৪২ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এতে করে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার হয় ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে করা নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৬১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৯৩ জন, অ্যান্টিজেন টেস্টে ১৪৬ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১১৮ জন, শেভরন হাসপাতাল ৮৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ জন, জেনারেল হাসপাতাল আরটিআরএল ল্যাবে ৩০ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ জন, ইপিক হেলথকেয়ার ল্যাবে ৬০ জন, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪২ জন এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
উপজেলায় শনাক্ত ১৪৫ জনের মধ্যে পটিয়াতে সর্বাধিক ২৬ জন রয়েছেন। এছাড়া, রাঙ্গুনিয়ায় ২০ জন, রাউজানে ১৫ জন, সীতাকুণ্ডে ১৩ জন, ফটিকছড়িতে ১২ জন, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও হাটহাজারীতে ১১ জন করে, বোয়ালখালীতে ৮ জন, আনোয়ারায় ৫ জন, লোহাগাড়ায় ৪ জন, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ৩ জন করে , বাঁশখালীতে ২ জন এবং কর্ণফুলীতে ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।
এমএহক