চট্টগ্রামে ভারত নারী ‘এ’ দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

তিনটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে অক্টোবরের শুরুতে বাংলাদেশে আসে ভারত নারী ‘এ’ দল। ঢাকায় নেমেই সোজা চট্টগ্রাম চলে আসে ভারত নারী দল। আর দিন পনের আগে থেকেই চট্টগ্রামে অবস্থান করে নিজেদের প্রস্তুত করেছিল বাংলাদেশ। খেলেছিল বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচও। কিন্তু আসল জায়গায় এসে ন্যূনতম প্রতিযোগিতাও গড়তে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪ অক্টোবর শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে একশও করতে পারেনি। হারে বড় ব্যবধানে। একই স্টেডিয়ামে ৬ অক্টোবর মুখোমুখি হয় দু’দুল। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচেও (২৪ ওভারের ম্যাচ) চলে ভারতীয় নারীদের আধিপত্য।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ দল বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দলকে ভালো সূচনা এনে দেন মুরশিদা ও শারমিন। দলীয় ২৬ রানের মাথায় শারমিনের বিদায়ের পর ফারজানা এসে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেয় মুরশিদাকে। কিন্তু দলীয় ৫৫ রানের মাথায় ফারজানা এবং ৭২ রানের মাথায় ৩৩ রান করে মুরশিদাও বিদায় নেন।

চারে ব্যাট করতে নেমে সানজিদা একপ্রান্ত আগলে রেখে দলীয় ইনিংস গড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু তাকে কেউ সঙ্গ দিতে না পারায় বাংলাদেশ অল আউট হয়ে যায় ১২৮ রানে। সানজিদা শেষ পর্যন্ত ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারত নারী ‘এ’ দলের হয়ে রাশি ও তনুশ্রী নেন ৩টি করে উইকেট।

জবাবে ভারত নারী ‘এ’ দল ৩৯.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। দলের পক্ষে ইয়াশতিকা সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন। এছাড়া দেবীকা ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।

খেলা শেষে বিসিবি মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব ও প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও বিসিবি কাউন্সিলর শহীদুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ম্যাচ রেফারি মুজিবুল হক মন্টু ও ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারী খান রুবেল উপস্থিত ছিলেন।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার দু’দলই কক্সবাজার রওয়ানা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!