চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা গত ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলা সচেতনতা মাসের সমাপনী পর্ব হিসেবে চিহ্নিত হলো। নগরীর লালখানবাজারে একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি ৮ জন নারীর মধ্যে ১জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্ত করা গেলে নিরাময়ের হার ৯৫ থেকে শতভাগ পর্যন্ত হতে পারে। তবে বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থা অধিকাংশ নারীকে স্তনের সমস্যা প্রকাশে বাধ্য করে না। তাই পুরো সমাজকে সচেতনতার আওতায় আনতে হবে।’ মেয়র আরও বলেন, ‘স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগ শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়েছে কিনা। দেরিতে বা শেষ পর্যায়ে রোগ সনাক্ত হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। ঝুঁকি ও চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ও পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তাই পুরুষদেরও সহানুভূতিশীল এবং সচেতন হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিএসসিআরের চেয়ারম্যান ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, পিজিএস একাডেমিয়ার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.ইমাম হোসেন রানা, অধ্যাপক ডা. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. এস এম তারেক, ডা. একরামুল হক, অধ্যাপক ডা. এম এ কাসেম, ডা.কাজী আইনুল হক, ডা. রফিকুল হাসান, অধ্যাপক ডা.আবদুল কাদের, ডা. সাকেরা আহমেদ, ডা. সায়েরা বানু শিউলী এবং ডা. সালাউদ্দিন মাহমুদ।
প্রশ্নোত্তর পর্বে মেয়র ছাড়াও অধ্যাপক খন্দকার এ কে আজাদ, ডা. শাকেরা আহমেদ এবং ডা. সায়রা বানু শিউলি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সচেতনতা কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে বেসরকারি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান সিএসসিআর এবং পিজিএস একাডেমিয়া। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীজুড়ে বিভিন্ন স্থাপনা, সড়ক ও মোড়ে পিংক কালারের প্ল্যাকার্ড স্থাপন করা হয়েছে এবং ডিজিটাল বিলবোর্ডে সচেতনতামূলক শ্লোগান প্রচার করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মহিলা পুলিশসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের জন্য সচেতনতামূলক সভা ও নিজে নিজে স্তন পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাসের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিএসসিআর ও পিজিএস একাডেমিয়া বিষয়টি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে।’
সেবাদানকারী চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন কনসালটেন্ট ডা. সাকেরা আহমেদ, ডা. নাজমা মাহবুব ও ডা. সায়েরা বানু শিউলি।
মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ডা. রেহেনা ফেরদৌস, ডা. মিথিলা বড়ুয়া, ডা. প্রমি দাস, ডা. আয়েশা সিদ্দিকা, ডা. মালাইকা করিম, ডা. ইউসরা মায়েশা জ্যোতি, ডা. রাহেলা বেগম, ডা. নিশি আক্তার, ডা. সৈয়দা সদিয়া তানজিলা সাবা, ডা. তানজিন ফাতেমা, ডা. ইসরাত আরা, ডা. জোরিয়া আদিবা, ডা. উম্মেহানি সাবা, ডা. ইলমা নাওয়ার, ডা. ইয়েন রাশেদা, ডা. দেবজানি বড়ুয়া, ডা. শারজিনা আলম, ডা. হালিমা বেগম, ডা. সুমাইয়া হোসেন, ডা. রিফা ফেরদৌস, ডা. স্বাগতা ভৌমিক, ডা. জেহিদা আকতার, ডা. নাবিলা বিনতে নুর, ডা. তারান্নুম আফরিন শোভনা, ডা. রেহেনা আলম ও ডা. রেবেকা ইয়াসমিন।
অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সার্জনদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ডা. খন্দকার এ কে আজাদ, অধ্যাপক ডা. মাসুদ করিম, ডা. সাকেরা আহমেদ, ডা. সায়েরা বানু শিউলি, ডা. নাজমা মাহবুব, ডা. আহসানুল আবেদীন ও ডা. নুরুল আমিন ভুঁইয়া। অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট ছিলেন ডা. মো. শাহাজাহান, ডা. রেজাউল হক টিপু ও ডা. সুবীর বড়ুয়া।



