চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার বালুমহালে রক্তারক্তি, ছাত্রদল নেতার নামে বড় চাঁদাবাজির অভিযোগ
হামলায় আহত ১০ জন
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক বিএনপি নেতার বালুমহাল থেকে চাঁদা না পেয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বলাকা ইন্টারন্যাশনাল বালুমহালে চালানো হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ থেকে ১০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এসে রবিউলের লোকজন বালুমহাল মালিক মুবিনুর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন। তাকে মোবাইলে রবিউলের সঙ্গে কথা বলানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ফোনে রবিউল সরাসরি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং হুমকি দেন—চাঁদা না দিলে বালুমহাল চলবে না।
চাঁদা না পাওয়ায় বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় শাহমীরপুর এলাকার বালুমহালে ৫০-৬০ জন যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় বলে জানা গেছে। তারা অফিস ভাঙচুর করে এবং কর্মীদের উপর চড়াও হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বালুমহাল মালিক মুবিনুর রশীদ চৌধুরী (৪৫), তার ভাই আমিনুর রশীদ (৪৪), মোহাম্মদ নাছির (৪৫), মো. হোসেন (৩৫), ম্যানেজার লিটন (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৩৭), চালক সাদ্দামসহ (৩০) আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, মুবিনুর রশীদ বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি, তার ভাই আমিনুর রশীদ ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এবং মোহাম্মদ নাছির ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ফলে এই ঘটনার রাজনৈতিক গুরুত্বও বাড়ছে।
ভুক্তভোগী মুবিনুর রশীদ অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা রবিউল আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছেন। চাঁদা না দেওয়ায় আজ আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রবিউল হোসেন দাবি করেন, ‘সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি এমন কোনো ঘটনার সাথে জড়িত নই।’
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল। এর জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিপি
