চট্টগ্রাম নগরীর কাজিরদেউরি এলাকায় সোমবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে।
মামলাগুলোতে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মোট চার-পাঁচশ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কোতোয়ালী থানায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, অগ্নিসংযোগ ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে। চারটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলার বাদী কোতয়ালী থানা পুলিশ,এবং অন্যটির বাদী চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
তবে গতকালকের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে আটকের কথা জানায় পুলিশ। এবং সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার রাত থেকেই জড়িতের বাসায় গিয়ে আটকের অভিযান চালায় কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এবিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত মো.আতিকুর রহমান বলেন, গতকালকের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২০ জন আটক আছে। বাকিদের আটক করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এরআগে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের ঘরে রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এদের মধ্যে আবুল হাশেম অর্ধনগ্ন হয়ে পালিয়ে যায় এবং শাহাদাত হোসেন ঘরে উপস্থিত না থাকায় এদের কেউই আটক হননি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি হঠাৎ পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। কাজির দেউড়ি মোড় থেকে শুরু করে নেভাল ছাড়িয়ে সিআরবি এলাকা পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালায় অসংখ্য গাড়িতে, আগুন দেয় পুলিশের একটি গাড়িতে। এ সময় সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ পুলিশসদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে। গাড়িচলাচলও বন্ধ হয়ে যায় ওই এলাকায়।
বিএস/এমএফও