চট্টগ্রামে বিএনপিকর্মীকে পিটিয়ে ‘হত্যা’, আধিপত্য বিস্তারের জের

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক বিএনপিকর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক নারী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বড় বেতুয়া সেলিমের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বিএনপি নেতার নাম মো. শহীদ (৩২)। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির নেতা মো. সরোয়ার আলমগীরের অনুসারী ছিলেন।

নিহত শহীদ ৫ আগস্টের পর থেকে বড় বেতুয়া এলাকায় আমান নামের এক বন্ধুর বাড়িতে থাকতেন। তার বাবার নাম সাইফুল ইসলামের শ্বশুর বাড়ি উপজেলার সেমুতাং গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন কালাপানি এলাকায় হলেও গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।

এ ঘটনায় শহীদের মা বাদি হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির আরেকপক্ষের লোকজন শহীদকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার পর অনেক বিএনপিকর্মী এলাকা থেকে পালিয়েছেন।

মূলত উপজেলা বিএনপির নেতা মো. সরোয়ার আলমগীর ও আজিম উল্লাহ বাহার চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিরোধ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় বালুর মহাল দখল, চুরি ও বিভিন্ন ইস্যুতে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে বিরোধ বাড়তে থাকে। সেখানে শহীদ হস্তক্ষেপ করেন। ফলে দুই পক্ষই আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠে।

দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বোরহান উদ্দিন জানান, শহীদ বেতুয়া এলাকায় অবস্থান নিলে ক্ষুব্ধ লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাকে মারধর করে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, শহীদ বিএনপির একজন কর্মী। ফলে বিষয়টি দলীয় নয়।

দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মো. একরামুল হক বলেন, ‘নিহত শহীদ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরের অনুসারী ছিলেন। প্রতিপক্ষের স্থানীয় নেতা আহমদ সাফার নেতৃত্বে সায়েদ, রফিক, সোহেল, রুবেলসহ ২০-৩০ জন তাকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা সরোয়ার আলমগীর বলেন, গত ১৫-১৬ বছর যাদেরকে বিএনপির কোনো মিছিল-মিটিং এ দেখা যায়নি, তারা এখন দলের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্ম করছে। তারাই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।

ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির এক গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। আমরা বিস্তারিত খবর নিচ্ছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm