চট্টগ্রামে বাগে আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, তবু সতর্কতার বার্তা বিশেষজ্ঞদের

শনাক্তের হার এখন ৮, পাঁচে নামলেই ‘নিয়ন্ত্রণ’

অন্য এলাকাগুলোর মতো চট্টগ্রামও করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউকে বাগে আনতে যাচ্ছে। টানা একমাস উর্ধগতিতে থাকা করোনা পজিটিভের সংখ্যা দুইশতের নিচে নেমে আসল শুক্রবারই। ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শনিবার চুল পরিমাণ বাড়লেও সেটা খুব একটা উদ্বেগ জাগানোর মতো নয়।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলেই সেটাকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ বলা যাবে। অন্যদিকে এক শতাংশের নিচে নেমে এলে দেশকে ‘করোনামুক্ত’ হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে। তারা অবশ্য এও বলছেন, করোনা কতোটুকু বাগে এসেছে সেটা বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে আরও দুই সপ্তাহ। ফলে এই সময়টাতে স্বাস্থ্যবিধি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না।

গত ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সেই হার মেনে এসেছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ২০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।

এই সময়ে ২ হাজার ৫২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ১৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং অন্যদিকে উপজেলাগুলোতে ৩৭ জন করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২০৭ জনের। এর মধ্যে ৯১ হাজার ৩৮ জন চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা এবং উপজেলায় রয়েছে ৩৪ হাজার ১৬৯ জন। করোনায় চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩৬০ জন। এর মধ্যে ৭৩৪ জন চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা এবং উপজেলায় রয়েছে ৬২৬ জন।

চট্টগ্রামের মতো সারাদেশেও করোনায় দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে এসেছে। সারা দেশে একদিনে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচ হাজারের কোটায়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, শুক্রবারের পর শনিবারও সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় (১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা) করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৩ জন।

করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট পেরুনোর পর আসে আরেক নতুন ভ্যারিয়েন্ট— ওমিক্রন। নতুন বছরের শুরু থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে এর সংক্রমণ। এ নিয়ে শুরুতে যথেষ্ট উদ্বেগ থাকলেও ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণ কমার প্রবণতা অব্যাহত আছে। তবে এখন থেকে আরও দুই সপ্তাহ অর্থাৎ চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলেই ধরে নিতে হবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে তাই বলে স্বাস্থ্যবিধি মানায় হেলাফেলা করা যাবে না।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm