চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চায়না পাওয়ার কোম্পানি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জনান কোম্পানিটির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাতে চায়না পাওয়ার কোম্পানির ম্যানেজার হ্যানকুন পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদন কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। একই সাথে এই কোম্পানি কর্তৃক পরিচালিত চট্টগ্রামে বাশঁখালী, চট্টগ্রামের বাইরে গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলমান বিদ্যুৎ প্রকল্প সম্পর্কে মেয়রকে সম্যক ধারণা দেন।
প্রতিনিধিদলের নেতা হ্যানকুন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনে চসিক থেকে ১০ একর জায়গা ও প্রতিদিন দেড় হাজার মেট্রিকটন বর্জ্য সরবরাহ চেয়েছেন। এই বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রকল্পের জন্য কোম্পানিটি ১৮০ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে বলে প্রতিনিধিদলের নেতা জানান।
এদিকে, এই প্রস্তাবকে একটি সময়োপযোগী প্রস্তাব উল্লেখ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রদানের চায়না পাওয়ার কোম্পানিকে প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রস্তাবের পর সুবিধাজনক সময়ে দুক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি করতে চান মেয়র।
সাক্ষাতে নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার এলাকায় চসিকের বর্জ্য ডাম্পিং এর ১৪ একর জায়গায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব জানিয়ে প্রতিনিধিদলকে জায়গা ও বর্জ্য প্রদানে আশ্বস্ত করেছেন মেয়র।
এই সময় আ জ ম নাছির বলেন, ‘পরিবেশসম্মত নগরী গড়তে চায় চসিক। কিন্তু দিনে দিনে ভাগাড়ে জমছে বর্জ্যের পাহাড়। এখনই আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় না গেলে সংকট আরও বাড়বে।প্রতিদিন এই নগরীতে গৃহস্থালি বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২৫ হাজার মেট্রিকটন। কোনো ধরনের শোধন ছাড়াই দিনের পর দিন খোলা আকাশের নিচে বাড়ছে বর্জ্যের স্তুপ। এতে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে নগরীর ভেতরেও।’
তবে পুরো প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মেয়র আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল সোহেল আহমদ, সচিব মোহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএ/এসএস