জাতীয় শিশু দিবস ও বিশ্ব শিশু নাট্য দিবস উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপি এই নাট্য উৎসবের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগর।
গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান।
উদ্ধোধন করে তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়কে একটি গোষ্ঠী ধর্মসহ নানা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার আবরণে আটকে রাখতে চায়। এই চেষ্টাকে ব্যর্থ করার জন্য সাংষ্কৃতিক চর্চা বাড়াতে হবে। আমি এমন পরিবেশে বড় হয়েছি যেখানে সাংস্কৃতিক চর্চাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। আমাদের জাতিসত্ত্বার যে বিকাশ তাতে সংষ্কৃতিচর্চার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একটি গোষ্ঠী বাঙালির পরিচয়কে ধর্মসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার আবরণে আটকে রাখতে চায়। আমি মনে করি সাহিত্য সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়িয়ে তাদের এই অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। এই অনুষ্ঠানে এসে সেই দর্শনের সাথে আয়োজকদের ভাবনার মিল পেয়েছি। এটা আমার ভালো লাগছে।’
বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার উপদেষ্টা লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, বিজিএমইএর সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক হাসান জাহাঙ্গীর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাওইদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দিলরুবা খানম।
সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন। তরুণদের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।’
লায়ন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোরদের আলাদা গুরুত্ব দিতেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে তাই জাতীয় শিশু-কিশোর দিবস পালিত হচ্ছে।’
অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘শিল্প ও সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
দুই দিনব্যাপি নাট্যউৎসবের প্রথম দিনে মঞ্চনাটক পরিবেশন করে অনন্য থিয়েটার, বাওয়া স্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা। মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে চট্টল কুঁড়ি ও কণ্ঠ নীড়ের শিশুশিল্পীরা।