চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা, জিটিসি প্রপার্টির এমডির কারাদণ্ড

গুনতে হবে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও

ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় জিটিসি প্রপার্টির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মোরশেদ ওরফে মোরশেদ বিল্লাহকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

এছাড়া মামলার অপর ৫ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক কাজী শরীফ উদ্দিন এই রায় দেন। তবে আসামি পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারের দিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।

মোহাম্মদ মোরশেদ ওরফে মোরশেদ বিল্লাহ ফটিকছড়ির ধর্মপুর আজাদী বাজার বিল্লাল মাঝির বাড়ি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে।

মামলার বাদি ছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন ইমামের পক্ষে তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এএমএম হায়দার ঈমাম।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জিটিসি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মোট ৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে সোমবার আদালত ৬ আসামির মধ্যে মোহাম্মদ মোরশেদ ওরফে মোরশেদ বিল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করে দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।

Yakub Group

এর আগে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী মৌজা এলাকায় একটি নির্মানাধীন বহুতল ভবনের ৮ম তলায় ১৩১৮ বর্গফুট পরিমাপের একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য রেজিস্ট্রার্ড চুক্তিনামা করা হয়। চুক্তিনামার শর্ত মতে, কয়েক ধাপে বাদি মোট ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু বিবাদিরা শর্ত মতে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে বাদিসহ বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেন।

বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘অভিযোগে মোরশেদকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেন আদালত। তবে অপর ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদানের বিষয়ে রায়ের বিস্তারিত কপি দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজন মনে করলে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করা হবে।

মামলার বাদি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার হাসান ঈমাম বলেন, ‘ডেভেলপার কোম্পানির নামে ৬ জন আসামি প্রতারণায় জড়িত। ৫ জনকে খালাস দেওয়ায় এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করা হবে।’

এসডি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!