চট্টগ্রামে ফের বৃষ্টির চোখরাঙানি, হাড়কাঁপানো শীত ফিরছে আবার
নগরজুড়ে দুর্ভোগ মানুষের
সকাল থেকেই চট্টগ্রাম নগরীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। নতুন বছরের শুরুতেই চট্টগ্রামসহ সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত ও চট্টগ্রামে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু হয়ে এখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে শীতের নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বাড়লো। বৃষ্টি থাকবে আগামীকালও। এরপর শুরু হবে কনকনে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পূবালী এবং পশ্চিমা বাতাসের সংমিশ্রণের ফলে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা অব্যাহত থাকতে পারে আরোও দুয়েকদিন। তবে আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থামার সম্ভবনা রয়েছে আগামীকাল (শনিবার) সকালে তবে বৃষ্টি থামার পর শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যাবে। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ‘এ দিন চট্টগ্রামে সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি বেশি।’
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে চট্টগ্রামে বৃষ্টি আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত থাকবে। রোববার থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে বৃষ্টি। এছাড়া শীতের প্রাবল্য বাড়বে।
এদিকে নগরে দুপুরের দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও সন্ধ্যায় সেটা মাঝারি বর্ষণে রূপ নিয়েছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে পানি জমে গেছে। সড়কের পুরনো গর্তগুলো পানিতে ভরে টইটম্বুর। যানবাহন চলাচলের সময় কিছু কিছু সড়কে কাদা-ময়লায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।

নগরের চকবাজারে দেখা যায়, ওয়াসার গর্তে পানি জমে সড়কও কাদা-ময়লায় সয়লাব হয়ে গেছে। প্রত্যেক সড়কে সিএনজি অটোরিকশাগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।
নগরের ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে চকবাজার আসার পথে ট্যাম্পু ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। জানতে চাইলে ড্রাইভার শহীদ উদ্দিন বলেন, ‘২ নম্বর গেট থেকে চকবাজার রিক্সা ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা। সেই জায়গায় আমরা ২০ টাকা নিচ্ছি তা বেশি নয়। এছাড়া আজকে ট্যাম্পু বা সিএনজি অটোরিকশাও তেমন বাইরে বের হয়নি। গাড়ি সংকট রয়েছে তাই ভাড়াটা বেশি।’
গৃহিণী মমতাজ বেগম বলেন, ‘মেয়ের কোচিং ছিল তাই তাকে নিয়ে সকালে চকবাজার এলাকায় এসেছি। কিন্তু কোচিং শেষে ফেরার পথে মা মেয়ে দুজনকেই ভিজতে হয়েছে। শুক্রবার সরকারি বন্ধ থাকায় চাকরিজীবী মানুষের আনাগোনা কম। দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষ বাসা থেকে বের হয়েছে তাদের দুর্ভোগ ছিল চরমে।’
এএস/এসএস