দুই বছর আগে জ্যোতি সূত্রধরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন অভি। শুরুতে দুজনের পরিবারই এ বিয়ে মানতে ছিলেন পুরোপুরি নারাজ। এমন অবস্থায় জ্যোতি ও অভি চট্টগ্রাম নগরীতে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করে আসছিলেন।
এর মধ্যেই সংসারে জ্বলে ওঠে অশনিসংকেত। দুজনের মনোমালিন্যের একপর্যায়ে জ্যোতি তার বাবার বাড়ি সীতাকুণ্ডে চলে যান। তবে অভি তাকে একাধিকবার ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাত পৌনে আটটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরে প্রেমতলা এলাকার মালিপাড়া গ্রামে স্ত্রী জ্যোতি সূত্রধরকে (২০) ছুরিকাঘাতে হত্যার পর নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী অভি ধর (২৮)।
স্থানীয় লোকজন আহত অভি ধরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অন্যদিকে নিহত জ্যোতি সূত্রধরের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত জ্যোতি সূত্রধর সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তিনি সীতাকুণ্ড তিনি পৌর সদরের প্রেমতলা এলাকার ডা. রামচন্দ্র সূত্রধরের মেয়ে।
অন্যদিকে আহত অভি ধর চট্টগ্রাম নগরের একটি স্বর্ণের দোকানের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়।
নিহত জ্যোতির বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, জ্যোতি ও অভি দুজনেই বিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য তাদের নিজ নিজ পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে উভয়ের পরিবার বিয়ে মেনে নিতে রাজি হওয়ার পর ছেলের পক্ষ থেকে যৌতুক দাবি করা হয়। বিষয়টি মেনে নেয়নি জ্যোতির পরিবার।
জ্যোতির বাবা দাবি করেছেন, যৌতুকের দাবি না মানায় রাগে-ক্ষোভে জ্যোতিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন অভি। এরপর অভি নিজেও নিজের পেটে ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
সিপি