চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাহরাইন প্রবাসী মাসুদুর রহমান মির্জা হত্যা মামলায় জামিন শুনানি শেষে আরও তিন আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৯ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন সহ আসামিদের জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদনে ভিকটিম মাসুদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ আরও একাধিক আঘাত থাকায় আসামিদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আল মাসুদ জানান, আমরা শুনানিতে মাসুদুর রহমান মির্জা হত্যায় আসামিদের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ আদালতের কাছে উপস্থাপন করে জামিন বাতিলের আবেদন জানাই। আদালত আমলে নিয়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। বর্তমানে এই মামলার পাঁচজন আসামি হাজতে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মনির হোসেন জানান, আমরা মির্জা হত্যা মামলাটি তদন্ত করছি। মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে দু’দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনে আদালত আদেশটি স্থগিত রাখেন।
চলতি বছরের ২৫ মার্চ রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বালুটিলা বাজার মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ শেষে বের হওয়ার পর প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বাহরাইনফেরত প্রবাসী মাসুদ মির্জাকে। এই ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ভূজপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই মাহফুজুর রহমান বাবু।
ঘটনার দিনই শামীম হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে পুলিশে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আকতারকে জেলে পাঠান আদালত। বাকি তিনজন জাহাঙ্গীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত ৯ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে তাদের জেলে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারিক হাকিম। এনিয়ে মির্জা হত্যাকণ্ডে জড়িত এজাহারভুক্ত ছয় আসামি জেল হাজতে রয়েছে।
বিএস/ডিজে