‘অনরা ক্যান আছন, গম আছন নি। তোয়ারার লাই আর পেট পুড়ের, তাই আজ আঁই আইছি’—কথাগুলো কোনো চাটগাঁর নেতা বা মন্ত্রীর না। বক্তব্যের শুরুতেই জনসভায় উপস্থিত চট্টগ্রামের লাখো নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিটে পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তাকে ফুল ও করতালির মধ্যদিয়ে বরণ করে নেন দলের নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রামের প্রয়াত নেতা এমএ আজিজ ও জহুর আহমেদের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চট্টগ্রামে আসলেই ছুটে যেতাম এমএ আজিজ চাচা, জহুর আহমেদ চাচার বাসায়। এখন তারা নেই, সব স্মৃতি মনে আছে।’
চট্টগ্রামে পলোগ্রাউন্ডের সভায় প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা ভাষণের শুরুতে জনসভায় যোগ দেওয়া দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বসাধারণের উদ্দেশে বলেন, ‘এই চট্টগ্রামের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সমাবেশ করতে পারিনি। তাই আপনাদের কাছে ছুটে আসলাম। এই স্মৃতিময় চট্টগ্রামে আমরা বারবার ছুটে আসতাম। আমার বাবা জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে মুক্তি পেতেন আমাদের চট্টগ্রামে বেড়াতে নিয়ে আসতেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে মিছিলের নগরীতে রূপ নিয়েছে চট্টগ্রাম। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেছে বন্দরনগরী। নেতাকর্মীদের গায়ে ছবি সম্বলিত নানা রঙয়ের গেঞ্জিতে পুরো জনসভাস্থল রঙিন হয়ে ওঠেছে। এছাড়া পলোগ্রাউন্ড মাঠের আশপাশ ছেয়ে গেছে ব্যানার আর পোস্টারে।
ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি হেলিকপ্টারে করে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে নামেন। সেখান থেকে সিআরবি হয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আসেন। মাঠে এসেই ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং চার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএস/ডিজে