চট্টগ্রামে প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার কারাদণ্ড

এবার চট্টগ্রামের এক গ্রাহকের চেক প্রতারণা মামলায় বাংলাদেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ইভ্যালি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের সেই চেকের সমপরিমাণ অর্থও জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে বিভিন্ন চমকপ্রদ অফার দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি মানুষের সঙ্গে লেনদেন করে। পণ্য সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন রাসেল ও শামীমা। এবার চট্টগ্রামে এক গ্রাহকের চেক প্রতারণা মামলায় তাঁদের এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২ জুন) চট্টগ্রাম ৭ম মহানগর দায়রা জজ মো. মহিউদ্দিন এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী পিপি এমএমএস শাহেদ বলেন, ‘চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ডসহ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। সাজা পরোয়ানামূলে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রাসেল রাজধানীর সাভার থানার নগরকান্দা কান্দি বলিয়ার পুর এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর স্যার সৈয়দ রোডের নিলয় কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিং হাউস নং ৫/৫এ তে স্ত্রীসহ থাকতেন। তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিন রাজধানীর কাফরুল থানা মিরপুর পূর্ব কাজি পাড়া এলাকার রফিকুল আলম তালুকদারের মেয়ে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পণ্য কেনার জন্য ইভ্যালিতে জমা করা টাকা রিফান্ড করতে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই মামলার বাদি নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন আবিদকে একটি চেক দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির নামে। এতে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা উল্লেখ ছিল। একই বছরের ১ নভেম্বর মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখায় সেই চেকটির টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট নম্বরটি ব্লক দেখায়। সেদিনই চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে ১১ নভেম্বর দণ্ডিত আসামিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালে তা রিসিভ না হয়ে ১৪ নভেম্বর ফেরত আসে। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর দণ্ডিত দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন ভুক্তভোগী। ওই সময় আদালত মামলা গ্রহণ করে সমন জারি করেন।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এরপর ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালিয়ে সস্ত্রীক গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্ত হন শামীমা। ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন রাসেল।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm