চট্টগ্রাম নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আটজনকে কুপিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। আহতদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও তিনজন পথচারী।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আটজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক রাকিব, বাকলিয়া থানা ছাত্রলীগের সদস্য সাব্বির আলম সোহাগ,
বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, এইচএসি পরীক্ষার্থী অভি, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম চৌধুরী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিশাত চৌধুরী। এছাড়া তিনজন পথচারীর পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে সাজিদের খাদ্যনালী কেটে যাওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
জানা গেছে, বাকলিয়া থানা এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে ১৪ নভেম্বর একাধিক মামলার আসামি মনিরের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা আরাফাত শাকিলকে মারধর করে তুলে নিয়ে যান। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাব্বির আলম সোহাগ বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মনিরসহ তার অনুসারীদের আসামি করা হয়। এই মামলা তুলে নিতে মনির চাপ দিয়ে আসছিলেন। মামলা না তোলায় মনিরের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন রামদা, চাপাতি, টিপ ছোরা নিয়ে প্রকাশ্যে সাব্বির ও তার অনুসারীদের ওপর সোমবার বিকালে হামলা করে। এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয় তাদের। এ সময় পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়াও ২-৩ জন পথচারীও ছিলেন। তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়।
বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমিজ আহমেদ বলেন, ‘রাহাত্তারপুলে একটি হামলার অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হবে। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরএ/ডিজে