বেপরোয়া গতিতে ধেয়ে আসা এক মাইক্রোবাসের চাপায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দোহাজারী হাইওয়ে থানার এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক পুলিশ কনস্টেবলও।
নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. রাব্বি ভূঁইয়া (২৬)। তিনি নরসিংদী জেলার পলাশ থানার মালতী গ্রামের মোজাম্মেল ভূঁইয়ার ছেলে। অপরদিকে আহত আরাফাত হোসেন (২৯) নোয়াখালীর জেলার বাসিন্দা আবদুল মান্নানের ছেলে। মাইক্রোবাসটিকে আটক করা গেলেও এর চালক পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় দোহাজারী হাইওয়ে থানার সামনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে হাইওয়ে থানা চেকপোস্ট বসিয়ে লকডাউনের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামমুখী বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসকে (চট্ট-মেট্রো চ ১১-৫২২৫) থামাতে সংকেত দিলে চালক গাড়ি না থামিয়ে প্রথমে কনস্টেবল আরাফাতকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে থামাতে গিয়ে কনস্টেবল রাব্বি ভূঁইয়াকে পেছনের চাকায় চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
খবর পেয়ে জনতা পিছু ধাওয়া করে দোহাজারী পৌর এলাকা থেকে মাইক্রোবাসটি (হাইয়েস) আটক করে। এ সময় অপর একটি গাড়ীর সাথে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসটিকে কৌশলে থামিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন চালক। হাইওয়ে থানার অন্য সদস্যরা আহত আরাফাতকে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেন।
নিহত রাব্বি ২০১৯ সালে দোহাজারী হাইওয়ে থানায় যোগদান করেন। গত দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে হাইওয়ে থানার পাশে বসবাস করতেন। নিহত রাব্বির ৯ মাস বয়সের এক কন্যাসন্তান আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাইক্রোবাসটি কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে অবৈধভাবে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাচ্ছিল।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি আবদুর রব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে। চালককেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিপি