চট্টগ্রামে পুলিশের হাত থেকে পালানো আসামি টেকনাফ থেকে গ্রেফতার

চট্টগ্রামের আদালত ভবন থেকে পালিয়ে যাওয়া মাদক মামলার আসামি আবুল কালামকে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের লেদাপাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ। আবুল কালাম কক্সবাজারের টেকনাফের লেদাপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থী।

এর আগে রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান আবুল কালাম।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘আদালত ভবন থেকে পুলিশের হাত থেকে মাদক মামলার আসামি আবুল কালাম পালিয়েছিল। টেকনাফের লেদাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানার এক এসআই ও দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সাময়িক বহিষ্কার হওয়া এসআই নাম সেতু আক্তার, দুই কনস্টেবল হলেন শাহাদাত ও নজরুল।

রোববার আদালত থেকে এই আসামী কিভাবে পালিয়েছে তা খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে সিএমপি দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) আমিনুল ইসলামকে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপিলটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণের ডিসি জসিম উদ্দীন বলেন, ‘এ ঘটনায় সিএমপির দক্ষিণ জোনের এডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশের এক এসআই এবং দুই জন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’

কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, নগরীর কোতোয়ালী থানার কদমতলী মোড়ের উত্তর পাশে ফরিদের চায়ের দোকান থেকে ১ হাজার ৫০ পিচ ইয়াবাসহ আবুল কালামকে রোববার (৫ ডিসেম্বর) আটক করে চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখা।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ টিপু সুলতান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। এদিন আবুল কালামসহ কোতোয়ালী থানা থেকে একাধিক আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়েছিল।

কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, জিআরও সেকশন থেকে কোর্ট হাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় আসামি পালিয়েছে।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!