চট্টগ্রামে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে চোখ হারানোর শঙ্কায় এক পুলিশ সদস্য। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তবে পুলিশ দাবি করছে, শিক্ষার্থীদের থেকে ছোঁড়া ককটেলে চোখে আঘাত লেগেছে ওই পুলিশ সদস্যের।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড়ের মোমিন রোডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যের নাম মোশাররফ হোসেন। তিনি নগরীর কোতোয়ালী থানায় উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার বিকাল ৩টার থেকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে জমায়েত দেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চেরাগী পাহাড় থেকে সরে কদম মোবারক মসজিদের সামনে সড়কে বসে পড়ে। এ সময় সাংবাদিক ও পুলিশ শিক্ষার্থীদের পাশে অবস্থান করছিল। ওই মুহূর্তে চেরাগী পাহাড়ের দিক থেকে এক পুলিশ সদস্য একটি সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পারে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে। সেটি বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এর পর মুহূর্তে আরেকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। ওই সময় গ্রেনেডটি এসআই মোশাররফ হোসেন ও দৈনিক ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিক রাজীব রায়হানের সামনে বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই হেলমেট পড়া অবস্থায় মোশাররফের চোখে আঘাত লাগে। এ সময় সাংবাদিক রাজীব রায়হানও আহত হন।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদ কামাল বলেন, ‘সাউন্ড গ্রেনেডে পুলিশ সদস্য আহত হননি, শিক্ষার্থীদের ছোঁড়া ককটেলে পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকার চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছেন, আমার (প্রতিবেদক) সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে—এমনটি বলার পরও সাজেদ কামাল বিষয়টি অস্বীকার করেন।
সিএমপির উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ায় এ পুলিশ সদস্য চোখে আঘাত পাননি। দুর্বৃত্তরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঢুকে ককটেল বিস্ফোরণ করে তাতেই পুলিশ সদস্য আহত হন।
আরএ/আরএস/ডিজে