চট্টগ্রামে নিলামে উঠছে গাড়ি ফলমূল গার্মেন্টস পণ্যসহ ২০০ কনটেইনার পণ্য

চট্টগ্রামে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় নিলামটি হতে যাচ্ছে আর মাত্র নয় দিন পর। নিলামে তোলা হবে সাধারণ গাড়ি থেকে বিলাসবহুল গাড়ি, স্টিল পণ্য, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, বিভিন্ন ধরনের কাপড়, কেমিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, পেপার ও পেপারসামগ্রী, হার্ডওয়্যার, টেক্সটাইল মেশিনারিজ, সিরামিক আইটেমসহ নানান ধরনের পণ্য। বিভিন্ন সময় আটক করা ও আমদানি করে কাস্টমস থেকে দীর্ঘদিন ধরে ছাড়িয়ে না নেওয়া পণ্যগুলোই নিলামে তোলা হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে বেশ অনেকদিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম কাস্টমসের সবচেয়ে বড় নিলামটি এবার হতে যাচ্ছে ৩০ জুন। এতে মোট ২০০টি কনটেইনার নিলামযোগ্য পণ্যের নিলাম হবে। ১৬৪টি লটে ভাগ হবে এসব কনটেইনার। একটি লটে এক থেকে তিনটি কনটেইনার পণ্যও রয়েছে। কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্র এ তথ্য চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই মাস নিলামের আয়োজন করতে পারেননি কাস্টমস হাউস। তাই এবার অনেকগুলো পণ্যের নিলাম হতে যাচ্ছে একসঙ্গে। এবার নিলামে তোলা হবে গাড়ি, স্টিল পণ্য, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, বিভিন্ন ধরনের কাপড়, কেমিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, পেপার ও পেপারসামগ্রী, হার্ডওয়্যার, টেক্সটাইল মেশিনারিজ, সিরামিক আইটেমসহ বিভিন্ন মালামাল।

জানা গেছে, হাইকোর্টে রিট থাকায় বেশ কিছু পণ্যের নিলাম করা যাচ্ছে না। যা নিলাম হচ্ছে তার মধ্যে পচনশীল পণ্যও রয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু কনটেইনার রয়েছে আপেল-মালটা জাতীয় ফলের।

সব ঠিকঠাক থাকলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ১৬৪টি পণ্যের লট নিলাম হবে আগামী ৩০ জুন। নিলামের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রও আহবান করা হয়েছে। উপযুক্ত দরপত্র প্রদানের মাধ্যমে এসব পণ্য ছাড় দেওয়া হবে।

কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, অনেকগুলো পণ্যের চালান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছাড় না নেওয়ায় নিলামে তোলা হচ্ছে। এসব পণ্য ছাড় নেওয়ার জন্য সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি ও বারবার তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও পণ্য ছাড় না নেওয়ায় এগুলো নিলামে তোলা হচ্ছে।

কাস্টমস নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফরিদ আল মামুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে বিভিন্ন সময় আটক করা ও খালাস না করা পণ্য পড়ে থাকে দিনের পর দিন। আমদানির পর পণ্যগুলো একমাসের মধ্যে খালাস করা না হলে সেগুলো ‘মিস ডিক্লারেশন’ ঘোষণা করা হয়। এরপরও পণ্যগুলো আমদানিকারক গ্রহণ না করলে সেগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিলামে তোলা হয়।’

ডেপুটি কমিশনার জানান, ‘নিলামে অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন), জেলা প্রশাসকের দপ্তর এবং যুগ্ম কমিশনার (সদর), শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে নির্ধারিত টেন্ডার বক্স থাকবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখা এবং ঢাকা ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয়ে একযোগে টেন্ডার বক্স খোলা হবে। করোনাভাইরাসের কারণে গেল দুই মাস নিলাম হয়নি। তাই এবার পণ্য ও কনটেইনারের সংখ্যাও বেশি।’

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!