চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত সহিংসতা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারীরা। নির্যাতনের সঠিক তথ্য সামনে আসছে না নানান প্রতিকূলতার কারণে। বর্তমান ডিজিটাল যুগেও নির্যাতনের তথ্যের জন্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও থানায় অভিযোগের তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়।
নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরীর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে ‘উৎস’র উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংবাদিকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। এতে ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী নগরীর সাম্পান রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যমকর্মীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা।
ডাটা সাংবাদিকতার প্রসার ঘটানোর লক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডাটাফুল, সংবাদ মাধ্যম দৈনিক সংবাদ, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সংগঠন ইউনাইট থিয়েটার ফর সোশাল অ্যাকশন (উৎস)-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘কানেক্টিং ডটস : এক্সপোজিং ভায়োলেন্স অ্যাগেইন্সট উইমেন থ্রো ওপেন ডাটা, অ্যানোনিমাস রিপোর্টিং অ্যান্ড রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট’ প্রকল্প।
কর্মশালায় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর আইনগত ব্যাখ্যার ব্যবহার সর্ম্পকিত বিষয়ে অধিবেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান।
নারীর প্রতি সহিংসতা ও তথ্য অধিকার আইনের সম্পর্ক এবং জেন্ডার সেনসেটিভ প্রতিবেদন তৈরি বিষয়ক অধিবেশন পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওশন আকতার।
এছাড়া ডাটা সাংবাদিকতা বিষয়ে অধিবেশন পরিচালনা করেন ডাটাফুলের নির্বাহী পরিচালক পলাশ দত্ত।
আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুরুতে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন ডাটাফুলের নির্বাহী পরিচালক পলাশ দত্ত। উৎস’র নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা, সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র সহযোগী সম্পাদক কামরুল হাসান বাদল।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মসূচি সমন্বয়কারী উৎস’র মুহাম্মদ শাহ আলম।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন পত্রিকায় কর্মরত ১৩ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ গণমাধ্যমকর্মীসহ ২৫জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী পর্বে অংশগ্রণকারী সকলকে সনদপত্র তুলে দেন প্রশিক্ষকবৃন্দ।
আরএ/ডিজে