চট্টগ্রামে দুই জাহাজের মাঝে মিললো ফেরি থেকে লাফ দেওয়া যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের কালুরঘাট ফেরির পাটাতন থেকে কর্ণফুলী নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যুবকের লাশ ১১ দিন পর মিললো নতুন ব্রিজের নিচে। নদীতে দুটি জাহাজের মাঝখানে ভাসছিল তার লাশ।

বুধবার (১০ জুলাই) রাত ১১টায় কর্ণফুলীর শাহ আমানত সেতুর বাম পাশে মন্দির ঘাট এলাকায় দুই জাহাজের মাঝখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে সদরঘাট নৌপুলিশ।

এর আগে গত ৩০ জুন পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে কর্ণফুলীতে লাফ দেন তিনি।

নিহত যুবকের নাম জনি মুখার্জী (৪০)। তিনি চকবাজারের কাতালগঞ্জ রাধামাধব আখেড়ার মৃত মুকুন্দ মুখার্জীর দ্বিতীয় ছেলে। তার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে সদরঘাট নৌপুলিশ ও জনির স্বজনরা।

এ বিষয়ে জনির ছোট ভাই রকি মুর্খাজী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘লাশটি আমার ভাইয়ের, আমরা এখন নদীতে আছি। নৌপুলিশ লাশ উদ্ধার করছে।’

লাশ উদ্ধারের বিষয়ে সদরঘাট নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর মন্দির ঘাট এলাকায় দুই জাহাজের মাঝখানে একটি লাশ আটকে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। ভাটা থাকায় প্রথমে লাশটি উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়, পরে জোয়ার আসলে রাত ১১টার দিকে আমরা সেটি উদ্ধার করি।’

এর আগে ৩০ জুন মুঠোফোনে ধারণ করা দুটি ভিডিও ফুটেজ হাতে আসে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে। ভিডিও ফুটেজের একটিতে দেখা যায়, লাল শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত এক যুবক খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কালুরঘাট সেতুর পাটাতনের দিকে যান। অপর ভিডিওতে ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডে দেখা যায়, পাটাতনে ৩ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকার পর পায়ের সেন্ডেল খুলে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাওয়া যুবকটি জনি বলে আগেই নিশ্চিত করেছিল তার পরিবার।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm