চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দিনদুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রীর বড় বোনকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বুধবার (২৭ অক্টোবর) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দায়ের করবেন ছোট বোন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সানমার শপিংমলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহফুজুর রহমান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ওই মহিলার ছোট বোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিকাল সাড়ে চারটার দিকে আমি আর আমার বোন সানমারের সামনে রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার বোন রাস্তা পার হয়ে তার বাসায় যাবে, কর্নেলহাট। আর আমি দাঁড়িয়ে থেকে তাকে বিদায় দিচ্ছিলাম। এমন সময় একটা ছেলে রাস্তার একপাশ পার হয়ে মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায়। আমার বোনও একপাশ পার হয়ে তার পাশে যাওয়া মাত্রই আমার বোনের গায়ে হাত দেয়। এ সময় রাস্তায় আর কেউ ছিল না।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ‘ছেলেটা যথেষ্ট দূরে ছিল। হুট করে ও আমার আপার সাথে ঘেষে আমার আপার সেনসেটিভ জায়গায় হাত দেয়। আমার আপা যথেষ্ট ব্যাথা পেয়েছে। সাথে সাথে ছেলেটা রোড পার হওয়ার জন্য হাঁটা ধরতেই আপা পেছন থেকে ওকে ধরে ফেলে। খুব দ্রুতই ঘটে ঘটনাটি।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীসহ তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড দেখে জানা যায় তার নাম মাহফুজুর রহমান। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে মানুষজনের জোরাজুরিতে আমরা তাকে ছেড়ে দিই। আগামীকাল বুধবার তার বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেবো।’
ওই ছাত্রী বলেন, ‘ঘটনাস্থলের পাশে ফ্লেভার্সের একটা ছেলে পারলে আমার হাত থেকে ওকে কেড়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। অনেকে বলছে মাফ করে দিতে। সুতরাং বুঝতে পারছিলাম এই কাজ ছেলের জন্য নতুন না। সে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। আমি ও আমার বোন দুজনেই বোরখাপরা ছিলাম। আমার বোন ৩৫+। তাহলে বাচ্চা মেয়েদের সাথে ওই ছেলে কী করে এটাও ভেবে দেখার বিষয়। আমাদের ভার্সিটির মেয়েরাও বা কিভাবে নিরাপদ ওর হাত থেকে? যারা ওর মেয়ে ফ্রেন্ড আছে, তারা কি আদৌ সেইফ?’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এমআইটি/সিপি