চট্টগ্রামে থানার ভেতরে যুবক মরে গেলেন শার্ট প্যাঁচিয়ে, সিসিটিভিতে মিলল প্রমাণ

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকা এক আসামি গলায় শার্ট প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় আত্মহত্যার বিষয়টি ধরা পড়ে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা— সেটা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বুধবার (৩ জুলাই) দিবাগত ভোররাত ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা করা আসামির নাম মো. জুয়েল (২২)।

একটি ডাকাতি ও ছিনতাই মামলায় জুয়েলকে ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। জুয়েলের নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও অস্ত্রসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভোর রাত ৬টা ২৫ মিনিটে আত্মহত্যা করার আগে জুয়েল গায়ের শার্টটি খুলে হাজতের ফটকের পাশে বাঁধার চেষ্টা করেন। তবে সেটি মাটি থেকে বেশি উচুঁতে না হওয়ায় এবং সিসিটিভি ক্যামেরা থাকায় সেখান থেকে সরে টয়লেটের সামনে চলে আসেন। সেখানেই ভেন্টিলেটরে শার্ট পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।

তবে হাজতে সিসিটিভি ও সার্বক্ষণিক কনস্টেবল দায়িত্বে থাকার পরও কিভাবে থানার মধ্যে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটে— এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

এ প্রসঙ্গে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘থানায় হাজতের সামনে সার্বক্ষণিক একজন কনস্টেবল দায়িত্বে থাকেন, যিনি থানার হাজতে থাকা আসামিদের দেখভাল করেন। তবে প্রতিজন কনস্টেবল দুই ঘন্টা পর পর পরিবর্তন হয়। আর দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় অস্ত্র ও আনুষঙ্গিক অফিসিয়াল নিয়ম পালন করতে গিয়ে আনুমানিক ১০ মিনিটের মতো সময় যায়। আর এই সুযোগেই আত্মহত্যা করেন তিনি।’

সিসিটিভি ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি ভিডিওতে দেখবেন সে বাথরুমের সামনে গিয়েই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। যেখানে ক্যামেরা সামান্য কভার করছে। যেহেতু ওদিকে টয়লেট, তাই ক্যামেরাটা ওদিকে রাখা হয়নি।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা জিডি করেছি। ম্যাজিস্ট্রেট এসে সুরতহাল করার পর পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।’

বিএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm