ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, সংযম ও ত্যাগের মহিমার মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আজহা। ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নামাজে অংশ নেন এমপি-মন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা। এরপর পাড়া-মহল্লায় শুরু হয় পশু কোরবানি।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ঈদের প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
এতে সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সোলায়মান আলম শেঠসহ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
এরপর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঈদের দ্বিতীয় জামাতও অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে।
একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।
এছাড়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টায় ঈদ উল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে।
এতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।
একইসঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, লালদীঘি সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ, মা আয়েশা সিদ্দিকী সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ এবং আরেফীননগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর খুতবা পাঠ করেন খতিব। বয়ানে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলিবন্টন করতে হবে তা বয়ান করা হয়।
দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়। এরপর মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
ঈদের জামাত শেষে পাড়া-মহল্লায় চলে পশু কোরবানি।
এদিকে ঈদ উল আজহা উপলক্ষে নজরদারি জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঈদের জামাতে পুলিশ, র ্যাবের সঙ্গে সোয়াটের টিমও উপস্থিত ছিল। একইসঙ্গে নগরীতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
ডিজে