চট্টগ্রামে তৈরি হবে ৫০০সিসির রয়েল এনফিল্ড বাইক, কেটে গেল নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো দেশের ভেতরে ব্যবহারের জন্য ৫০০ সিসির মাঝারি আকারের মোটরসাইকেল তৈরির অনুমতি দেওয়া হল। ৫০০ সিসির এই মোটরসাইকেল ছাড়াও আইকনিক রয়েল এনফিল্ড বাইক তৈরি হবে চট্টগ্রামে ইফাদ মোটরসের কারখানায়।

১৭ অক্টোবর শিল্প মন্ত্রণালয় ইফাদ মোটরস লিমিটেডকে উচ্চ ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল তৈরির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ইফাদ মোটরস মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপন করছে। এই কারখানায় ৩৫০সিসি এবং বড় ইঞ্জিনের আইকনিক রয়েল এনফিল্ড বাইক তৈরি করা হবে।

বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের বাজারের জন্য ১৬৫সিসির বেশি ইঞ্জিন বা মোটরসাইকেল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় না। স্থানীয় উৎপাদনকারীরা শুধুমাত্র রপ্তানির জন্য ৫০০সিসি পর্যন্ত উচ্চ ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল তৈরি করতে পারে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, স্থানীয় বাজারেও উচ্চতর ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল বিক্রি করা যাবে এবং সেই সঙ্গে রপ্তানিও করা যাবে।

২০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত বাংলাদেশে মোটরবাইকের ওপর ইঞ্জিন ধারণক্ষমতা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কিন্তু এরপর সরকার হঠাৎ করেই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের ধারণক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করে দেয় ১৫০ সিসি পর্যন্ত। বিআরটিএ ২০০০ সাল থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি বন্ধ করে দেয়। তখন এ নিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের ধাওয়া করে তাদের শক্তিশালী দ্রুত মোটরসাইকেলের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। যদিও এরকম কোনো উদাহরণ দেখাও যায়নি।

বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ধারণক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অথচ বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের কারণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলগুলো রাস্তায় নিরাপদ।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল শিল্পে প্রায় আট হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ দেখেছে। চার বছর আগে সরকার মোটরবাইকের স্থানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পলিসি বেনিফিট চালু করার পর থেকে বাইকের দাম প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

বছরে এখন ৫ লাখেরও বেশি মোটরবাইক বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে। ২০১৬ সালে বিক্রির এই পরিমাণ ছিল দুই লাখেরও কম।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!