চট্টগ্রামে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে চসিকের সভা
রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটছে আশংকাজনক হারে। তবে এই ডেঙ্গুর আগ্রাসন চট্টগ্রাম নগরে যে হবে না তার নিশ্চয়তা নেই । তাই সময় থাকতে আমাদেরকে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে । তিনি বলেন এটা এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সময়। ভারি বর্ষণ কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ির আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারি শেল, পলিথিন,চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজননের স্থান।
চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের এক বৈঠকে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় নগরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও নগর অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা হয়।
ডেঙ্গু রোধে গণসচেতনতায় গুরুত্বারোপ করে মেয়র আরো বলেন, ‘বর্ষাকালে কোনো পাত্রেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তার ওপর বৃষ্টির পর বাড়ির আশপাশে পানি জমিয়ে থাকলে তাও পরিস্কার করে ফেলতে হবে। জমে থাকা পানি ছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে চসিক পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে হবে।’
ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র মশামাছির উপদ্রব এবং মশার উৎপত্তি রোধে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ ছিটানোর ক্রাশ প্রোগাম, মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও নালা-নর্দমা পরিস্কারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ সময় চসিক পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়োজিত চিকিৎসকদেরকে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত হওয়ারও আহ্বান জানান মেয়র।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার প্রীতি বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান যীশু, ও অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
এসএস