চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যায় মোজাম্মেল হক কখনো সচিব, কখনো পুলিশ, আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। এবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে এক বিধবা নারীর টাকা আত্মসাৎ করা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় (৫ সেপ্টেম্বর) সোমবার কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের আবদুস শুক্কুর নামে এক ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় মোজাম্মেল হক ও তার ভাই মো. মনজুরুল হক (৪০) এবং রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ছগির আহমদ (৪৫) নামে একজনকে আসামি করা হয়। মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আবদুস শুক্কুর নামে এক ব্যক্তির কাগজপত্র বানিয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর মৌজায় অবস্থিত ০.৪৩৭৫ একর জমি তারা জোরপূর্বক দখল চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘তিনজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। এখন প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে বাকি প্রসেসিং।’
জানা যায়, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রতারক মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তখন তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে সরকারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল। কোতোয়ালী থানার পুলিশ মর্জিনা আক্তার নামে এক নারীর করা প্রতারণা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে ২০১৮ সালে মিরসরাই ইকোনমিক জোনের ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণের প্রকৃত ভূমি মালিকের টাকা এলএ শাখা থেকে জালিয়াতের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। ওই ঘটনায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক চেক প্রতারণার মামলাও রয়েছে।
এমএফও