চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে সরকারি নির্ধারিত দামে মিলছে না মুরগি ডিম। ১০ দিন আগে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কবে তা কার্যকর হবে খোদ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরই জানে না। এতে করে বিপাকে পড়ছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে এখনও সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছেই। সরকারি নির্দেশের পরও ওই সিন্ডিকেটই এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে।
গত কয়েক দিনে চট্টগ্রাম নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামসহ সারাদেশের খুচরা বাজারে ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও সোনালী মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয় মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
নতুন নির্ধারিত দর অনুযায়ী, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের খুচরা বাজারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হবে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়, যা প্রতি ডজনে পড়বে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা। এছাড়া প্রতিকেজি সোনালী মুরগির দাম ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। তবে নতুন দর নির্ধারণের ১০ দিন পার হলেও চট্টগ্রামের বাজারে কার্যকর হয়নি।
সরেজমিন নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬২ টাকায়, যেখানে প্রতি পিস ডিমের জন্য ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে প্রায় ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
আয়েশা আক্তার নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগের সরকারের সময়েও নির্ধারণ করে দেওয়া দাম বিক্রেতারা মানতো না। এখন এই সরকারের সময়ও একই অবস্থা। তাহলে আমরা যেই পরিবর্তনের কথা বলছি, তা আর হলো কোথায়?’
ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা মরিয়ম শীলা নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সোনালী মুরগির দাম বেশি, তাই ব্রয়লার কিনতে এলাম। শুনেছি, সরকার নির্ধারণ করে দেওয়ায় দাম কমেছে। কিন্তু বাজারে এসে দেখি উল্টো চিত্র। বিক্রেতারা সরকারের নির্ধারিত দাম মানছেন না। অনেকে বলছেন, নির্ধারিত দামের বিষয়ে তারা জানেনই না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের তদারকি করা জরুরি।’
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, আমাদের টিম তদারকি করছে। বাজারে কখন থেকে সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন হবে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ডিজে