কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের ড্রাইভারকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি মো. কাজল কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) গভীর রাতে চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিঙ্ক রোডের র্যাবের সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি এলজি, ১৫ রাউন্ড কার্তুজ, একটি কার্তুজের খোসা, দুটি রাম দা, একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল জানান, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাত আনুমানিক সোয়া একটার দিকে সলিমপুর এলাকায় ডাকাতদলের অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি দেখে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। পরে আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও গুলি চালায়। গোলাগুলির পর সেখান থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।’
র্যাব আরও জানায়, ‘লাশ শনাক্তের জন্য স্থানীয়ভাবে এবং আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে জানতে পারি ওই ব্যক্তির নাম কাজল। পরে তার সম্পর্কের খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারি তিনি গেল কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের চালককে হত্যায় জড়িত ছিলেন।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর জানান, ‘২০১৮ সালে খুন ও ডাকাতির একটি ঘটনায় কাজল আসামি ছিলেন। আরও একাধিক মামলা আছে তার বিরুদ্ধে। সবশেষ গত ১৬ জুলাই কোরবানির পশুবাহী ট্রাকের চালককে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে কাজল ও তার সহযোগীরা জড়িত ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। কাজল নিজস্ব কিছু লোকজন নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতিসহ নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’
মুআ/এমএহক