সড়কের উপর দাঁড়িয়ে নানা অঙ্গভঙ্গি করে বেড়ান ফারজানা বেগম। টিকটকে ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করেন ফেসবুকেও। তার সঙ্গে এসব কাজে যুক্ত থাকেন কয়েকজন কিশোরও সাঙ্গপাঙ্গ। কিন্তু এই বিনোদন জগতই ফারজানার আসল পেশাগত স্থান নয়। এসবের আড়ালে তার রয়েছে ভয়ংকর এক জগৎ। চট্টগ্রাম নগরীর দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী চক্রের নেতা সে। একটি-দুটি নয়, তার বিরুদ্ধে আছে আটটি ছিনতাইয়ের মামলা।
শুধু তাই নয়, ফারজানার স্বামীও ছিনতাইকারী। তার রয়েছে ১১টি ছিনতাই মামলা। আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে রিমান্ডে আছে সে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকা তাকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘ফারজানা টিকটক ও লাইকি করে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার করে। কিন্তু সে খুবই দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। কিশোরদের নিয়ে তার নিজস্ব একটি ছিনতাইকারী দল আছে। ছেলে ও মেয়েদের কাছ থেকে আলাদা কৌশলে ছিনতাই করে। একা চলাচলরত কোন ছেলেকে প্রথমে টার্গেট করে। এরপর ঠিকানা জিজ্ঞেস করার নামে তাকে থামায়। থামলেই ছোরা দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল দিয়ে দিতে বলে। নতুবা তার বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনার হুমকি দেয়। এতে ভয়ে সবকিছু দিয়ে দেয় ছেলেরা।’
মহসীন আরও বলেন, ‘মেয়েদেরও ঠিকানা জিজ্ঞেস করার ভান করে থামায়। এরপর ছোরার ভয় দেখিয়ে সব ছিনিয়ে নেয়। সে মেয়েদের গলার চেইন, কানের দুল ছিনতাই করে। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই কান ছিড়ে যায়, গলা কেটে যায়।’
ডবলমুরিং থানা পুলিশ জানায়, ফারজানার স্বামী রুবেল ২ দিন আগে এলজি ও ছোরাসহ গ্রেফতার হয়। বর্তমানে রিমান্ডে আছে। ১১ মামলার আসামি রুবেল বর্বর প্রকৃতির ছিনতাইকারী। তারা স্বামী-স্ত্রী মিলেই একটি ছিনতাই চক্র গড়ে তুলেছে।
আরএ/এমএফও