চট্টগ্রামে জাহাজ থেকে তেলচুরির চক্র ধরা নৌপুলিশের হাতে, জড়িত লাইটারেজ মালিকও (ভিডিও)

বিদেশ থেকে আনা অপরিশোধিত ভোজ্যতেল নিয়ে বড় জাহাজ থেকে ছোট ট্যাংকারে তোলার সময় অভিনব কৌশলে সেই তেলের বড় অংশ চুরি করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এরপর পরিশোধিত তেলের সঙ্গে অপরিশোধিত সেই তেল বিক্রি করে দেওয়া হয় খোলাবাজারে।

YouTube video

দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলে আসলেও এবার এমন এক চোরচক্রকে হাতেনাতে ধরেছে চট্টগ্রামের নৌ পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি লাইটারেজ থেকে পাইপ দিয়ে ভাউজারে তেল নেওয়ার সময় হাতেনাতে তাদের ধরা হয়।

এ ঘটনায় পাঁচ শ্রমিকের সঙ্গে আটক করা হয় লাইটারেজ জাহাজের সাত কর্মীকেও। ওই তেল শবনম-৪ নামে একটি অয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ জাহাজটিতে নেওয়া হচ্ছিল। ওই জাহাজের মালিক হারুনর উর রশিদও এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ।

নৌ পুলিশ এ সময় তানিশা এন্টারপ্রাইজের ওই লাইটারেজ জাহাজ ছাড়াও তেলের দুটি ভাউজার জব্দ করেছে।

এ ঘটনায় আটকদের মধ্যে পাঁচ লাইটারেজ শ্রমিক হলেন— দুলাল ব্যাপারী (৫৫), হুমায়ুন কবির (৪৫), ফিরোজ ব্যাপারী (২৭), আব্দুর রহমান (২২) এবং মো. শাকিল (২১)। বাকি সাতজন তানিশা এন্টারপ্রাইজের ওই লাইটারেজ জাহাজের কর্মী। জাহাজের কর্মী ও শ্রমিকরা পরস্পর যোগসাজশে ওই তেল খালাস করছিল।

এদিকে এ ঘটনায় আটক ১২ জনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেছে পুলিশ। লাইটারেজ জাহাজ ‘তানিশা এন্টারপ্রাইজের’ মালিক হারুনর উর রশিদকেও সেখানে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পালানো লাইটারেজ জাহাজটির শ্রমিক জসীম উদ্দিন নামে অপর একজনকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চোরচক্র ট্যাংকার থেকে তেল চুরি করে আসছিল। তেলচুরির এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেছে। মামলায় তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামের লাইটারেজের মালিকসহ আটকদের আসামি করা হয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm