চট্টগ্রামে জামিন মিলতেই এক অস্ত্রবাজকে আদালতপাড়ায় গণপিটুনি

দুই ঘন্টা পর নতুন মামলায় আবার কারাগারে

চট্টগ্রামের পটিয়ার আদালতে জামিনের দু’ঘণ্টা পর ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে হত্যাচেষ্টা মামলার এক আসামিকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি চালানোর দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রথমে জামিনের পর বিক্ষুব্ধ একদল লোক তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে নিলে আটক দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার ওই আসামি হলেন সাইফুল ইসলাম রনি (৩৫)। তিনি পটিয়া পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণঘাটা এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম রনি গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়। পরে ওই ঘটনায় গুরুতর আহত এনামুর রশিদ নামের এক ভিকটিম গত ২৭ আগস্ট সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে ১৫১ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ এবং আরও ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পটিয়া থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার এজহারভুক্ত ১০৫ নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম রনিসহ আরও বেশ কয়েক মঙ্গলবার দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান।

এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে তারা জামিন পান। এ মামলায় রনির সঙ্গে আরও কয়েকজনকে জামিন দেন আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ।

এ খবর পেয়ে একদল বিক্ষুব্ধ লোক আদালতের বাইরে রনিকে পেয়ে গণপিটুনি দিয়ে পটিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ তাকে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে আবারও তাকে আদালতে নিয়ে যায়। আদালতের বিচারক তাররাহুম আহমেদ রনিসহ অন্যান্য আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাকে ওই মামলায় চালান দেওয়া হয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm