ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে পুলিশের ‘অনুমতি’ নিয়ে সমাবেশ করতে দু-দফা চিঠি দিয়েও পুলিশের মন গলাতে পারেনি জামায়াতের নেতারা। আগের বারের মতোই পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো শব্দ পায়নি চট্টগ্রামের জামায়াত নেতারা।
তবে সমাবেশ আয়োজন স্থগিতের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জামায়াত। পুলিশ না করলেও তারা তাদের কৌশলে এগোবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রামের জামায়াত নেতাদের দ্বিতীয় দফা আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও ‘না’ বলেন পুলিশ কমিশনার। এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) দ্বিতীয় দফায় নগর পুলিশের কমিশনার বরাবর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন জামায়াতের নেতারা। এর দুইদিন আগে ১৫ জুলাই প্রথম দফায় আবেদন করে দলটি। কিন্তু তখনও পুলিশ ‘না’ বলে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, গত ১৫ জুলাই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল সিএমপি কমিশনারের বরাবর আবেদন করেন। এই সময় নগরে সমাবেশ করতে জামায়াতে ইসলামীকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, সোমবার (১৭ জুলাই) সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবারও পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করে দলটি। সেই প্রেক্ষিতেও সমাবেশের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। অর্থাৎ নগরে জামায়াত সমাবেশ করতে পারবে না।
জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল হক, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ জাতীয় নেতা ও আলেম ওলামাদের মুক্তি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির রোধে ১০ দফা দাবিতে ২২ জুলাই নগরীর লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করতে চায় জামায়াত।
অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও মজলিশে সূরার সদস্য আ জ ম ওবায়দুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিকভাবেই এগোবো। পুলিশ না করেছে, আমরা আমাদের মতো কাজ করবো। আমরা নিয়মশৃঙ্খলা মেনে কাজ করেছি অতীতে, তাই এবারো বিশৃঙ্খলা হয়, এমন কিছু করবো না।’
পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ হচ্ছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। আমরা বসবো, আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেবো।’
বিএস/ডিজে