চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত । চট্টগ্রামের করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর গবেষণা শেষে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসাআইআর) গবেষক দল।
যে ৩০ জন করোনা রোগীর নমুনা নিয়ে এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে তাদের ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে। বাকি ১৫ নমুনা সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন উপজেলা থেকে।
এতে দেখা গেছে চট্টগ্রাম নগর এবং উপজেলায় সমানসংখ্যক করোনারোগীই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। দুই জায়গা মিলিয়ে জেলার ৩০ জনের ২৮ জনের মধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি মিলেছে।
সিভাসুর উপচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নিদের্শনায় এবং পােল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি), সিভাসুর আর্থিক সহায়তায় সিভাসুর একদল গবেষক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
গবেষকদলে আছেন প্রফেসর ড. পরিতােষ কুমার বিশ্বাস, প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ড. মাে. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।
গবেষণার সাথে সরাসরি জড়িত থাকা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য ১৮ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের থেকে নমুনাগুলো সংগৃহীত ছিল। যাদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী রয়েছেন। এরমধ্যে পনেরটি নমুনা ছিল যাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজন রোগী মারা গেছেন। যার বয়স ছিল ৬০ এর অধিক এবং তিনি করোনার কোন ভ্যাকসিন নেননি। ‘
ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই গবেষণা থেকে এটা স্পষ্ট হলো চট্টগ্রামে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে এবং এর সংক্রমণ নগর ও উপজেলাগুলোতে সমানভাবেই হয়েছে।
১ জুলাই থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে সংগৃহীত ৩০টি নমুনা থেকে করােনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনােম সিকোয়েন্স বা জীবন রহস্য উন্মােচন করার জন্য ঢাকায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) প্রেরণ করা হয়। বিসিএসআইআর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাে. সেলিম খান ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাে. মােরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন।
এআরটি/সিপি