বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর নয়াবাজার বিশ্বরোড থেকে বড়পোল মোড় পর্যন্ত এই র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিতে সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ছয়জনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রশিবির আজ লাখ লাখ ছাত্রের আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান— সকল আন্দোলনে ছাত্রশিবির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতেও দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মুজিবের বাকশাল, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এবং বাম সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে ছাত্রসমাজ যখন দিশেহারা, তখনই ছাত্রসমাজের হাল ধরতে আলোর মশাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইসলামবিরোধী শক্তি ছাত্রশিবিরের বিরোধিতায় লিপ্ত রয়েছে। যুগে যুগে যারাই ছাত্রশিবিরকে দমন করতে চেয়েছে, কালের আবর্তে তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণে আমাদের চারজন ভাই শাহাদাতবরণ করেছেন। যদি প্রয়োজন হয়, ছাত্রশিবির আরও অগণিত শহীদের নজরানা পেশ করতে প্রস্তুত আছে।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত শাসনামলে আওয়ামী লীগকে একটি ধর্মে পরিণত করা হয়েছিল, মুজিব ছিল সেই ধর্মের অঘোষিত নবী। ২০২৪ সালের ছাত্রজনতা এই মুজিববাদী ধর্মের মূলোৎপাটন করেছে। বাংলাদেশে এই ‘আওয়ামী ধর্ম’ আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুনসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।