চট্টগ্রামে ছাত্রদলকর্মী খুনের মামলায় আসামি ৫৭ জন, গ্রেপ্তার আট

চট্টগ্রাম নগরে যুবদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহতের ঘটনায় পুলিশ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর মধ্যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনায় আট যুবদলকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রদলকর্মী মো. সাজ্জাদ ছিলেন নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন বাকলিয়া থানায়। মামলায় নাম এসেছে চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক ও যুবদল নেতা বোরহান উদ্দিন, পটিয়ার তাঁতী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম, মো. মিল্টন, ছোট বাদশা, মো. ইউসুফ, সবুজ ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, এমরান হোসেন, দিদার, রিয়াজ করিম, মো. জিহান, তামজিদুল ইসলাম, মো. আরাফাত, ছোট বোরহান, মো. মোজাহের, এহতেশামুল হক ভোলা ও মো. নাঈম উদ্দিনের।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আটজনের মধ্যে ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। প্রধান আসামি বোরহান এখনো পলাতক। ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়নি।

দলীয় সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বোরহান ও নজরুল নিজেদের নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারী পরিচয় দিচ্ছেন। বোরহান একসময় যুবলীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন তার ছবি ব্যবহার করে টাঙানো ব্যানার সরানোর নির্দেশ দেন। সেই ব্যানার সরাতে গিয়ে জসিম নামের এক যুবদলকর্মীকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। তাকে উদ্ধারে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, গুলিতে নিহত হন সাজ্জাদ।

পুলিশ জানায়, আসামিরা বাকলিয়া এলাকায় জায়গা দখল ও চাঁদাবাজির মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।

ksrm