চট্টগ্রামে চার পুলিশসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন হাসপাতাল কর্মকর্তার
জমানো টাকা ফেরত চাইতেই মিথ্যা মামলা একের পর এক
চট্টগ্রামে চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে আদালতে। এদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কর্মকর্তা কামরুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো, ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালতে আবেদনটি করেন ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ওয়ার্ড মাস্টার হিসেবে কর্মরত। আদালত আগামী ১২ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এতে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা হলেন— চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর থানার সাবেক ওসি ও বর্তমানে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মহিউদ্দিন মাহমুদ, বন্দর থানার সাবেক এসআই রবিউল ইসলাম ভুঁইয়া ও কেএম জান্নাত সজল, নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক এসআই বর্তমানে সিলেটে কর্মরত মঙ্গল বিকাশ চাকমা এবং বন্দর এলাকার বাসিন্দা জামাল ফরাজী ও মিলন ফরাজী।
অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ওয়ার্ড মাস্টার কামরুল ইসলাম একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানিতে টাকা জমা রাখেন। পরে সেখানে জমানো আট লাখ টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ওই মাল্টিপারপাস কোম্পানির মালিকরা তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন।
এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার একটি চুরির মামলায় আগ্রাবাদের চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে পুরো চট্টগ্রাম শহর ঘোরানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে ক্রসফায়ারের হুমকিও দেন ওই পুলিশ কর্মকর্তারা।
এরপর চুরির ওই মামলায় কামরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
অভিযোগে বলা হয়, বন্দর থানার ওই চুরির মামলার তদন্তে কামরুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তদন্তে দেখা গেছে, ওই মামলার অভিযোগে যে সময় চুরির ঘটনা দেখানো হয়েছে, কামরুল সেই সময় মা ও শিশু হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। চুরির অভিযোগে হাসপাতাল থেকে কামরুলকে ধরে নিয়ে যান বন্দর থানার ওই সময়কার এসআই কেএম জান্নাত সজল। অথচ মামলার কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে এসআই আবদুর রহিমের নাম।
এরপর কামরুলকে মাদকের মামলায় ফাঁসানো হয় একই পুলিশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে।
সিপি