চট্টগ্রামে গ্যাংওয়ারের নেপথ্যে রিয়াজউদ্দীন বাজারের শত কোটির অবৈধ ব্যবসা

অলিগলিতে তৎপর কিশোরগ্যাং, কলকাঠি নাড়ে দুই নেতা

চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ ব্যবসাকেন্দ্র রিয়াজউদ্দীন বাজারকে ঘিরে অবৈধ বিভিন্ন ব্যবসা ও অপরাধ সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে একের পর এক ঘটছে খুনের ঘটনা। এই বাজার ঘিরে সোনা চোরাচালান থেকে নকল সিগারেট, হুন্ডিব্যবসা থেকে ইয়াবা, চাঁদাবাজি থেকে চোরাই মোবাইলের বাণিজ্যসহ আরও নানা অপরাধের বড় একটি নেটওয়ার্ক সচল রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ এসব ব্যবসায় প্রতিদিন সেখানে ওড়ে কোটি কোটি টাকা। এর সূত্র ধরেই সেখানকার প্রতিটি গলি-উপগলিতে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। নিয়মিত সশস্ত্র শোডাউন ছাড়াও এদের হাতে ঘটছে হামলা-খুনোখুনির ঘটনা। চট্টগ্রামের কোতোয়ালী-সদরঘাট থানা ও রেলওয়ে পুলিশের প্রশ্রয়ে এভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে রিয়াজউদ্দীন বাজারসহ রেলস্টেশন এলাকা।

স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে রিয়াজউদ্দীন বাজারসহ রেলস্টেশন এলাকা।
স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে রিয়াজউদ্দীন বাজারসহ রেলস্টেশন এলাকা।

আর এই অপরাধীচক্রের পেছনে কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাবেক এক তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা এবং একজন কাউন্সিলর। তারা দুজনেই আবার এক মন্ত্রীর সরাসরি আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে থাকেন।

রেলস্টেশন ঘিরে দ্বন্দ্ব শুরু একবছর আগে

২০২৩ সালের ৯ জুলাই দুপুরে রিয়াজউদ্দীন বাজার রিদওয়ান কমপ্লেক্সে নূর এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী মোরশেদ আলম ও ত্রিদিব বড়ুয়া সিটি ব্যাংকের জুবলী রোড শাখায় ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রিয়াজুদ্দিন বাজারের রয়েল টাওয়ারের সামনে গেলে তাদের সামনে মারামারির নাটক সাজিয়ে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসী। পরদিন ছিনতাইয়ের সাত লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন—সাহেদ হোসেন মনা (২৪), একরামুল আলম (৩৭), মো. ইয়াছিন (২৪)  ও রবিউল হোসেন (২৩)।

এই ঘটনায় সাহেদ হোসেন মনা কারাগারে যাওয়ার পর থেকে রিয়াজউদ্দীন বাজারকেন্দ্রিক ছাড়াও আশপাশের এলাকায় অপরাধচক্রের নিয়ন্ত্রণ নেন তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু জুয়েল। পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরের সামনের এলাকার নিয়ন্ত্রণ অবশ্য আগে থেকেই জুয়েলের হাতে ছিল। মনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন রেলস্টেশন এলাকাও তার হাতে চলে যায়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাবেক এক তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতাকে এ সময় জুয়েলের সঙ্গে মিলে রিয়াজউদ্দীন বাজার এলাকায় একাধিকবার শোডাউন দিতেও দেখা গেছে।

এদিকে কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার পর সাহেদ হোসেন মনা আবার তার ‘নিজের এলাকা’ নতুন রেলস্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এর জের ধরে নতুন রেলস্টেশনের সামনের খাবারের দোকানেও একাধিকবার হামলা চালান মনা ও তার সঙ্গীরা। এ নিয়ে জুয়েলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব সাম্প্রতিক সময়ে চরমে পৌঁছায়। স্টেশন রোড এলাকায় সাহেদ হোসেন মনা ও জুয়েল দুজনই নিজেদের ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের’ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এই সংগঠনের ব্যানারে তারা ওই এলাকায় সভা-সমাবেশও করেছেন বিভিন্ন সময়ে।

খুন করতে জুয়েল এসেছিল বোরকা পরে

স্থানীয় একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার (৭ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দীন বাজারের পাখি গলির বন্দর বিতানে যান সাহেদ হোসেন মনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিল কিশোরগ্যাংয়ের ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল। খবর পেয়ে জুয়েল ও তার অনুসারী কিশোরগ্যাংয়ের সদস্যরা আলকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের পেছনের গলি, পাখি গলি ও জলসা গলি— এই তিন দিক থেকে তিনটি দলে ভাগ হয়ে বন্দর বিতান ঘিরে অবস্থান নেয়। এর একপর্যায়ে পাখির খাবারের একটি দোকানে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে শাটার বন্ধ করে সাহেদ হোসেন মনাকে অন্তত ১০ জন এলোপাতাড়ি পেটায়। পরে তার বাম পায়ের গোড়ালির রগ কেটে দেওয়া হয়। বুক, পেট ও হাতেও করা হয় ছুরিকাঘাত। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেখানেই মারা যান মনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, কালো বোরকা পরে এসে জুয়েলই মনার পেটে ছুরির ফলা ঢুকিয়ে দেন। মনার পরিবার অবশ্য ছুরিকাঘাতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জুয়েল, সাগর, বশির ও শাকিলও ছিল বলে জানিয়েছে। মনার স্বজনরা দাবি করেছেন, ‘এক যুবলীগ নেতার মদদে সন্ত্রাসীরা মনাকে হত্যা করেছে।’

এদিকে মনা খুনের ঘটনায় তার বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ফরহাদ ও সজীব নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার আসামিরা হলেন— কোতোয়ালী এলাকার ৭ নম্বর বাস পার্কিং এলাকার ভাসমান বাসিন্দা জুয়েল (৩২) ও রহিম (২৬), নুপুর মার্কেটের জুয়েল প্রকাশ মুরগী জুয়েল (৩২), আলকরণ ৩ নম্বর গলির মো. সজীব (২৪), শেখ ফরহাদ (২২), পটিয়ার কচুয়াইয়ের বাসিন্দা শেখ ফরহাদ (২২), গোয়ালপাড়া তুলাতলী বস্তির মো. শুকুর (৩৫), পূর্ব মাদারবাড়ি কামাল গেইটের হানিফ ও মাছ হানিফ (৩৫), উত্তর নালাপাড়া বাচুনীর মার কলোনির সবুজ (৩২), রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ভাসমান বাসিন্দা সাগর (২৮) ও শাটল (২০), কদমতলীর বশির ওরফে টিউমার বশির (৩০), স্টেশন কলোনির ইকবাল (৩১) ও শাকিল (২০)।

খুনিরা রাতেই চট্টগ্রাম ছাড়ে মেইল ট্রেনে

রোববার (৭ জুলাই) রাতে সাহেদ হোসেন মনাকে খুনের পরপর রাতেই চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যাওয়া ঢাকা মেইল ট্রেনে সাতজনের একটি দল চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। জুয়েলের নেতৃত্বাধীন কিশোরগ্যাংয়ের আরেকটি দল চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার মোড়ের বাসস্টেশন থেকে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে ঢাকার উদ্দেশ্যে। এর আগে ঘটনার মূল হোতা জুয়েলসহ তার গ্রুপের নেতৃস্থানীয় সদস্যদের ফেসবুক আইডি একযোগে ডিঅ্যাক্টিভেট করে ফেলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, খুনের ঘটনার পরপর রাতেই ২০ থেকে ৩০ জনের একদল কিশোর রিয়াজউদ্দীন বাজার ও রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নিয়ে এক যুবলীগ নেতার সঙ্গে খুনে অভিযুক্ত জুয়েলের ছবিসম্বলিত সব ব্যানার ও পোস্টার দ্রুতগতিতে সরিয়ে নেয় ও ছিঁড়ে ফেলে।

জুয়েল-শুক্কুরের দোস্তি

জুয়েলের অন্যতম প্রধান সহযোগী তুলাতলী বস্তির মাদকসম্রাট শুক্কুর। মনা খুনের মামলায় শুক্কুর ৬ নম্বর আসামি হলেও এই খুনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এই শুক্কুরও। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, তুলাতলী বস্তিসহ রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় তার মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায় হাত বাড়িয়েছিলেন মনা। শুক্কুর এতে ক্ষুব্ধ ছিল মনার ওপর।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর গোয়ালপাড়া তুলাতলী বস্তি ছাড়াও কদমতলী বস্তি, জামতলা বস্তিকে কেন্দ্র করে মাদকব্যবসার বড় আস্তানা গড়ে তুলেছেন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী শুক্কুর। শামসুল ইসলাম ওরফে মাছো শামসুর এই ছেলে ইয়াবা থেকে মদ, এমনকি পাহাড়ি মদের ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। শুক্কুরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একটি মাদক মামলা, রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ফোরম্যানের ওপর হামলার মামলা ছাড়াও চকবাজার থানায় গাড়ি চুরির মামলা রয়েছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

যে বাজারে শত কোটি অবৈধ টাকা ওড়ে প্রতিদিন

রিয়াজউদ্দীন বাজার ঘিরে সোনা চোরাচালান থেকে নকল সিগারেট, হুন্ডিব্যবসা থেকে ইয়াবা কিংবা চাঁদাবাজি থেকে চোরাই মোবাইলের বাণিজ্যসহ আরও নানা অপরাধের বড় একটি নেটওয়ার্ক সচল রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ এসব ব্যবসায় প্রতিদিন সেখানে ওড়ে কোটি কোটি টাকা। অবৈধ লেনদেনের পরিমাণই প্রতিদিন শত কোটি টাকা। চট্টগ্রামের কিশোরগ্যাং লিডার ও নেতা নামধারী শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি অংশ চান অবৈধ এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে। এই নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে তারা সদরঘাট এলাকা থেকে শুরু করে রিয়াজউদ্দীন বাজার ও নতুন-পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় কিশোরগ্যাং লালনপালন করে। তাদের ইঙ্গিতেই কিশোরগ্যাংয়ের হাতে একের পর এক খুন ও হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে।

রিয়াজউদ্দীন বাজারের আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী রোডের আরএস টাওয়ারে দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে সুমন সাহা নামের এক স্বর্ণকারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার নেপথ্যে ছিল সোনা ও মাদক চোরাচালানের টাকা নিয়ে বিরোধ। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম পুলিশের একসময়কার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান দুলু (৫৬), মো. মামুন (৩৮) ও নুর হাসান রিটু (২৮) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, টানা ২৪ ঘন্টা দুলু ও তার দুই সহযোগী সুমনকে লোহার রড, প্লাস্টিকের পাইপ ও প্লাস দিয়ে উলঙ্গ করে পেটানোর পর একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মামার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই সময় সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, দুলু ও সুমন দুজনই মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত। এমন এক লেনদেনে দুলুর কাছ থেকে নেওয়া টাকা সুমন পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

অলিগলিতে তৎপর কিশোরগ্যাং

রিয়াজউদ্দীন বাজারের প্রতিটি গলি ও উপগলিতে এই কিশোরগ্যাংয়ের তৎপরতা সবসময়ই চোখে পড়ে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনা ও জুয়েল দুজনেরই অন্তত ২০০ সদস্যবিশিষ্ট কিশোরগ্যাং রয়েছে। তবে গত বছর মনা গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তার বাহিনীর সদস্যসংখ্যা কমে এসেছিল। উল্টোদিকে তুলাতলী বস্তির শুক্কুরসহ কয়েকজনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে আরও ফুলেফেঁপে ওঠে জুয়েলের কিশোরগ্যাং।

জুয়েল-শুক্কুরের কিশোরগ্যাং শুধু রেয়াজউদ্দীন বাজার বা রেলস্টেশন এলাকা নয়, সদরঘাটের ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইস ফ্যাক্টরি রোডের সিটি কলেজ এলাকা পর্যন্ত তাদের বিচরণ। এ কাজে আবার পটিয়ার ধামা ইমরান ছাড়াও সিটি কলেজের এক ছাত্রনেতা তাদের ব্যবহার করে থাকেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জুয়েলের আরেক আশ্রয়দাতা হলেন রেল শ্রমিক লীগ নেতা কামাল পারভেজ বাদল। ২০২৩ সালের নভেম্বরে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) ওসি শহীদুল ইসলাম যোগদান করার পর এই বাদলকে সঙ্গে নিয়ে খুনে অভিযুক্ত জুয়েল ওসিকে ফুল দিয়ে বরণ করতেও গিয়েছিলেন। যদিও বাদল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেছেন, জুয়েল তার অনুসারী নয়। ওসি শহিদুল ইসলামও জুয়েলকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর সকালে রেল নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় ছয়টি ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করার পর বিকাল ৩টায় শ্রমিক লীগ নেতা কামাল পারভেজ বাদলের নেতৃত্বে জুয়েলসহ কিশোরগ্যাংয়ের ৩০-৪০ জন আরএনবির ফাঁড়িতে ঢুকে সদস্যদের ওপর চড়াও হয়। ওই ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডিও করে আরএনবি। পরে ৫ নভেম্বর পুরাতন স্টেশন এলাকায় রেলের জায়গা দখল করে তৈরি করা ‘শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ’ নামের এক ক্লাবের জুয়ার আসরে হানা দেয় পুলিশ। পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় রেলের জায়গা দখল করে হোটেল, শ্রমিক লীগের সাইনবোর্ড লাগিয়ে অফিস, গুদামসহ অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে এই চক্রের মদদে। স্টেশনের আশপাশে গড়ে ওঠেছে মাদকসেবীদের আস্তানা। দিনেদুপুরে চলছে মাদকসেবন ও বিক্রি। বর্তমানে জুয়েলের নেতৃত্বে নতুন স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ে অপর একটি জুয়ার আসর পরিচালিত হচ্ছে।

যুবলীগ নেতার ছত্রচ্ছায়ায় জুয়েলের নেতৃত্বাধীন কিশোর গ্যাং রেয়াজউদ্দীন বাজারের ভেতরেই শুধু নয়, প্রতিদিন এই বাজারে আসা ট্রাক থেকেও বিপুল পরিমাণ চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। জানা গেছে, একদিকে রেলওয়ে স্টেশনের সামনের মাজার থেকে রেয়াজউদ্দীন বাজার পর্যন্ত এবং অন্যদিকে তিনপোলের মাথা নেজাম হোটেল পর্যন্ত যেসব ট্রাক দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মালামাল নিয়ে এসে জমা হয়, প্রতি রাতেই সব ট্রাক থেকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা তোলে তারা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm