চট্টগ্রামে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আল মামুন নামে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। নগরের চকবাজার থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তাঁর স্ত্রী।
বুধবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে নগরের চকবাজার থানাধীন মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল কাদের।
তিনি বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে আল মামুন গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী। তবে তার মাথায় এবং গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ কারণে ময়নাতদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, আল মামুনের স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজতের রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভোর পাঁচটায় নগরের পার্কভিউ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়েছেন জানিয়ে আল মামুনকে নিয়ে আসেন তার স্ত্রী। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পুলিশ এসে এ বিষয়ে তদন্ত করেন। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পুলিশ হেফাজতে নেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আল মামুন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম জাজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায়।
তিনি আরূ জানান, গত এক বছর আগে আল মামুন এবং তার স্ত্রী ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের সংসার জীবনে বিভিন্ন বিষয়ে টানাপোড়েন রয়েছে।
আরএস/এমএফও