চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড এলাকা দিয়ে যখন প্রাডো গাড়িটি যাচ্ছিল, তখনই চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কাছে খবর আসে ওই গাড়িতে করে অস্ত্রের একটি চালান যাচ্ছে অজ্ঞাত কোনো স্থানে। খবর পেয়েই ট্রাফিক পুলিশের একটি দল পলোগ্রাউন্ডে প্রাডো গাড়িটির গতিরোধ করে। সেই গাড়িতে বসা কাতারপ্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতা। তাৎক্ষণিক তল্লাশিতে অস্ত্র না মিললেও কাতারপ্রবাসীর পকেটে মিললো চোলাই মদের বোতল।
কাতারপ্রবাসী এই আওয়ামী লীগ নেতার নাম শুকলাল শীল। তিনি হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদকও। সাতকানিয়া-লোহাগাড়াভিত্তিক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে তার বিশেষ সখ্য দেখা যায়।
৫২ বছর বয়সী শুকলাল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া হিন্দুপাড়ার মনীন্দ্র শীলের পুত্র। চান্দগাঁওয়ের সানোয়ারা আবাসিকের শুকলাল ম্যানশনে তিনি থাকেন।
জানা গেছে, শনিবার (৪ মার্চ) রাত পৌনে নয়টার দিকে গোপন সূত্রে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কাছে খবর আসে, নিউমার্কেট থেকে পলোগ্রাউন্ডগামী একটি প্রাডো গাড়ি (চট্টমেট্রো-ঘ-১১-০৭০৫) করে অস্ত্রের একটি চালান যাচ্ছে।
এর ১০ মিনিট পরই পলোগ্রাউন্ড স্কুলের মূল গেইটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর গাড়িটি দেখতে পেয়ে সেটির গতিরোধ করেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। সার্জেন্ট সোহেল রানা ও শাহেদুল হক শাহেদ এ সময় গাড়িটিতে তল্লাশি চালান।
তল্লাশি চলাকালে গাড়ির ভেতরে কোনো অস্ত্র পাওয়া না গেলেও শুকলাল শীলের পাঞ্জাবির ডান পকেটে একটি পানির বোতলের ভেতরে ৪০০ মিলিলিটার পরিমাণ চোলাই মদ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে শুকলাল জানান, নিজে সেবনের জন্যই ওই মদ সঙ্গে রেখেছেন তিনি।
পরে মদসহ শুকলাল শীলকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়।
রোববার (৫ মার্চ) ট্রাফিক বিভাগ দক্ষিণের সার্জেন্ট শাহেদ ইকবাল বাদি হয়ে অভিযুক্ত শুকলাল শীলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা (নম্বর ১০) দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওইদিনই অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়।
সিপি